বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাবেক ডিসি-জেলা জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন। ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন। ছবি : সংগৃহীত

কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলায় বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করে আসামির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১ জুলাই কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দেন দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।

এতে কক্সবাজারের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারকেও আসামি করা হয়েছে। তবে, প্রতিবেদন নিয়ে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন এখনো ধার্য হয়নি।

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম।

অভিযোগপত্রে আরও যারা সম্পৃক্ত হয়েছেন, তারা হলেন- কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহম্মদ।

২০১৪ সালে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন মহেশখালীর এক বাসিন্দা। মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহণকৃত চিংড়ি ঘেরের জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের ২৩ কোটি টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

মামলার পরপরই এক নম্বর আসামি জেলা প্রশাসকের নাম জালিয়াতির মাধ্যমে বাদ দিয়ে নথি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম। এ কারণে অভিযোগপত্রে সাদিকুলসহ অন্য চারজনকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালত ও দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ৪৬ কোটি টাকা। এ থেকে নানা কৌশলে ১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১৪ সালে মাতারবাড়ীর ব্যবসায়ী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। পরে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। বাকি অভিযুক্তদের মাঝে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম অবসরে এবং বাকিরা নিজ কর্মস্থলে দায়িত্বপালন করছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, তীক্ষ্ণভাবে সবকিছু তদন্ত করে যা পেয়েছি তা উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিটা আদালতের বিষয়।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম বলেন, দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদন নিয়ে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন এখনো ধার্য হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১০

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১১

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১২

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৩

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

১৪

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১৫

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১৬

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১৭

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

১৮

ডেজার সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলম, সম্পাদক প্রকৌশলী চুন্নু

১৯

নানা আয়োজনে গাকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

২০
X