লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে ভাঙন

লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি। ছবি : কালবেলা
লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি। ছবি : কালবেলা

উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে লালমনিরহাটে তৃতীয় দফা স্বল্পমেয়াদি বন্যার দেখা দেয়। তবে সোমবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। আর তিস্তার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাতিবান্ধা, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে।

তিস্তা ব্যারাজ বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ টানা তিন দিন ধরে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও সোমবার সকাল থেকে তা কমতে শুরু করেছে। এদিন সকাল ৬টায় পানিপ্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচে এবং সকাল ৯টায় আরও কমে গিয়ে তা বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পরে একই পয়েন্টে বিকেল ৩টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮০ মিটার। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল থেকে এখনো পানি সরেনি। ফলে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এরইমধ্যে তলিয়ে আছে অনেক রাস্তাঘাট। কিছু বাড়ি-ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে কাদা জমে আছে।

এদিকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্ট এবং জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চর গোবরর্ধন ও হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের বেশকিছু পয়েন্টে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে।

গত কয়েকদিনে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবর্ধন চর এলাকার ১০টি বসতভিটা, মসজিদ মন্দিরসহ অন্যান্য স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত বসতভিটা এরইমধ্যে তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত তিনদিনে এ ইউনিয়নের উত্তর ডাউয়াবাড়ি গ্রামের ২০টি পরিবারের আশ্রয়স্থলও এ তালিকায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আপাতত আলহাজ আছের মাহমুদ সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে অনেকে জায়গা না পেয়ে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন সড়ক ও বাঁধের ধারে ঘরবাড়ি আসবাবপত্র স্তূপ করে রেখেছেন। কেউ আবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল রায় জানান, সোমবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আর তিস্তার যেসব পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সে জায়গাগুলোতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

‘ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পিলখানার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা’

শীত কখন জেঁকে বসতে পারে, যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

কেন প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন অক্ষয়?

আর্জেন্টিনায় গুনে গুনে ৭ গোল দিল ব্রাজিল

১৯ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন গ্রেপ্তার

টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড, যা বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে

স্বর্ণপদকজয়ী জাতীয় পর্যায়ের বডিবিল্ডারকে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরে ঝুট গোডাউনে আগুন

১০

ক্ষমতায় গেলে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ গড়বে বিএনপি : ফখরুল

১১

বাড়ি ফেরা হলো না ফল ব্যবসায়ী মধুউল্লাহর

১২

বিভিন্ন থানায় পুলিশ টাকা ছাড়া কথা শোনে না : সারজিস

১৩

বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজের শিক্ষকদের

১৪

যে আসন থেকে নির্বাচন করতে চান রেজা কিবরিয়া

১৫

অস্তিত্ব সংকটে ষাটগম্বুজ মসজিদ, ক্ষয়ে গেছে ১০ মিহরাব

১৬

কম্পিউটার কেনার সময় যেসব বিষয় জানা জরুরি

১৭

রোহিত-কোহলির পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে যা জানাল টিম ম‍্যানেজমেন্ট

১৮

দেশের আদালতে প্রথম কোনো ব্রিটিশ এমপির সাজা 

১৯

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজকে জরিমানা

২০
X