মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১১:১২ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মিরসরাইয়ে লোকালয়ে অজগর, বনে অবমুক্ত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লোকালয় থেকে ১২ ফুট দৈর্ঘ্যর একটি অজগর সাপ উদ্ধার। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লোকালয় থেকে ১২ ফুট দৈর্ঘ্যর একটি অজগর সাপ উদ্ধার। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লোকালয় থেকে ১২ ফুট দৈর্ঘ্যর একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে মিরসরাই সদরের সুফিয়ারোড এলাকায় থেকে ওয়াইল্ড অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্য সাপটি উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা সাপটি উদ্ধার করে মহামায়া ইকোপার্কের বনে অবমুক্ত করে।

জানা গেছে, মিরসরাইয়ের সুফিয়ারোড় এলাকায় বাগানের নিরাপত্তা জালে আটকা পড়ে অজগরটি। বাগানের লোকজন দেখতে পেয়ে ওয়াইল্ড অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এসে সাপটি উদ্ধার করে।

ওয়াইল্ড অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্য মো. নাইমুল ইসলাম নিলয় কালবেলাকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের খবর পেয়ে মিরসরাইয়ের সুফিয়ারোড় এলাকায় বাগানের নিরাপত্তা জালে আটকে পড়ে। ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর। যার ওজন আনুমানিক ১২কেজি। সাপটির শরীরে একটু ক্ষত ছিল, তাকে চিকিৎসা দিয়ে মহামায়া ইকোপার্কের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহেন শাহ নওশাদ কালবেলাকে জানান, খবর পেয়ে অজগর সাপটি উদ্ধার করে সন্ধ্যায় মহামায়া ইকোপার্কের বনে অবমুক্ত করা হয়। সাপটির ওজন আনুমানিক ১২ কেজি। দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট। বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড় থেকে লোকালয়ে চলে এসে একটি জালে আটকা পড়ে।

বাংলাদেশ অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, অজগর নির্বিষ সাপ। এটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়াও করে না। এই প্রজাতিটি গাছে একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইঁদুর, কচ্ছপের ডিম, সাপ, বন মুরগি, পাখি, ছোট বন্যপ্রাণী ইত্যাদি খায়। সাপটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।

জোহরা মিলা বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু ব্যবসা, অস্তিত্ব সংকটে নদী

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নাগরিক সেবা বেগবান করার ঘোষণা ইশরাকের

‘ইসরায়েলে পরমাণু হামলা চালাবে পাকিস্তান’

দুদকের দৃষ্টিতে অভিযুক্ত টিউলিপ : চেয়ারম্যান

অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী শিমুল গ্রেপ্তার

ভারতে আবারও বিমানে আগুন

তাণ্ডব না, ঈদের সেরা সিনেমা ইনসাফ: ইকবাল

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে কোন দিকে ভারত

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুখবর দিল বিমান বাংলাদেশ

বক্তব্যের সময় লোডশেডিং, নুর বললেন ‘এটা এক ধরনের শয়তানি’

১০

টাইমড আউট বিতর্কে দুঃখ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা, দাবি ম্যাথুসের

১১

সাবেক প্রতিমন্ত্রীর গাড়িসহ আটক ২

১২

ইসরায়েলে ৩৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান 

১৩

নগরভবনে সভা করছেন ইশরাক, ব্যানারে লেখা ‘মাননীয় মেয়র’

১৪

রাতের মধ্যে কখন কোথায় হতে পারে বজ্রপাত

১৫

ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোহাম্মদ কাজেমি কে

১৬

ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাবে কি না, জানালেন প্রেসিডেন্ট

১৭

মঙ্গলবারও কর্মসূচি পালন করবেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা

১৮

চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

১৯

ইরান থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত

২০
X