শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের কদম আলী মাদবরকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কদম আলী মাদবরকান্দি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে কোরবান ও রাজ্জাক সিকদার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর আগে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে কয়েকশ মানুষ দুই দলে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ১৯ জন আহত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাবেয়া আক্তার ইভা কালবেলাকে বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্য আহতদের স্বজনরা ঢাকা নিয়ে যেতে চাইলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
কোরবান মাদবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে আমাদের দলের একজনের ঘর ভাঙচুর করেছিল রাজ্জাক সিকদারের সমর্থকরা। সেখানে আমরা একটি মামলা করেছিলাম। এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়। সেই মামলায় তারা আদালত থেকে জামিনে এসে ককটেল-বোমাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
জানতে চাইলে রাজ্জাক সিকদার বলেন, কিছুদিন আগে কোরবান মাদবরের সমর্থক ও আমার সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কোরবান মাদবরের লোকজন তাদের নিজেদের ঘরবাড়ি নিজেরা ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করে। সেই মামলায় আমরা হাজিরা দিয়ে আসার সময় কোরবান মাদবরের সমর্থক বজলু মাস্টার আমাদের লোকজনকে কটূক্তি করে কথা বলে। এরপরই বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কোরবান মাদবরের লোকজন বোমা নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে।
জাজিরা থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন