সিলেট বৃষ্টি হলেই শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষ। ভারি বর্ষণই নয়, সামান্য বৃষ্টিই যেন বন্যার অন্যতম কারণ। সিলেট বিভাগে আরও ২ দিন ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ধারাবাহিক বন্যায় নিঃস্ব মানুষ যখন একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখনই ভারি বর্ষণ শঙ্কায় ফেলে দিচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় অনেক এলাকা এখনো প্লাবিত আছে। বন্যার মধ্যে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সজীব হোসাইন জানান, গত ৩৬ ঘণ্টায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল থেকে ভারি বৃষ্টিপাত এবং ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এতে সদ্য বন্যা পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া মানুষজন আবার বন্যা আতঙ্কে আছেন। ভারি বৃষ্টি শুরু হলে আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এদিকে কুশিয়ারা তীরবর্তী জনপদ জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, দক্ষিণ সুরমা, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এখনও এসব এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে রয়েছে এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে।
তবে সুরমা তীরবর্তী জনপদ গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। এসব উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বন্যার্তরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলার ১৩ উপজেলায় ১০১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ১ হাজার ৬৪টি গ্রামের ৫ লাখ ৪০ হাজার ৮২০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ৬৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে (৯ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৩টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন