নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেসেঞ্জারে বড় ভাই না ডাকায় ভেঙে ফেলল মাথার খুলি

গুরুতর আহত ইউসুফ মিহির। ছবি : কালবেলা
গুরুতর আহত ইউসুফ মিহির। ছবি : কালবেলা

নরসিংদীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মেসেঞ্জার গ্রুপে এক কিশোরকে বড় ভাই না ডাকার জেরে ইউসুফ মিহির নামে এক কিশোরকে ইট দিয়ে মাথার খুলি ভেঙে দিয়েছে অপর কিশোর মাহফুজের বাবা মো. মাসুদ। এ ছাড়া পিটুনি দিয়ে আহত করা হয়েছে আরেক কিশোরকে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নরসিংদী শহরের বাসইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দশম শ্রেণির ছাত্র ইউসুফ মিহির শহরের বাসাইল এলাকার প্রবাসী কামাল মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে পিটুনিতে আহত কিশোরের নাম সাহেদ মিয়া। দশম শ্রেণির ছাত্র সাহেদ মিয়া একই এলাকার আবু কালামের ছেলে।

আহতদের সহপাঠীরা জানান, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারের একটি গ্রুপ খোলা হয়। সে গ্রুপে মাহফুজ নিজেকে বড় ভাই দাবি করলে সিয়াম এর প্রতিবাদ জানায়। সাহেদ, মিহিরসহ গ্রুপের অন্যরা তাতে সমর্থন করে। এতে মাহফুজ তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এরই জের ধরে শুক্রবার (১২ জুলাই) পৌর শিশুপার্কে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা শেষ করে সাহেদ দুপুর আড়াইটার দিকে বাসাইল পৌর ঈদগার সামনে পৌঁছলে মাহফুজ দলবল নিয়ে সাহেদকে একা পেয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে সাহেদের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওই দিনই রাত ৯টার দিকে সাহেদের পরিবারের সদস্য ও সহপাঠী কয়েকজন মিলে বিচার চাইতে মাহফুজের বাড়িতে যায়। এ সময় ছেলে মাহফুজের বিচার না করে উল্টো মাহফুজের বাবা মাসুদ মিয়া কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন এবং দা-বঁটি নিয়ে বিচারপ্রার্থীদের দিকে তেড়ে আসেন।

তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে মাহফুজের বাবা মাসুদ মিয়া ইট দিয়ে সহপাঠী ইউসুফ মিহিরের মাথায় আঘাত করে তার মাথার খুলি ভেঙে দেন। এতে মিহিরের মাথার মগজ বেরিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মিহিরকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আহত সাহেদ মিয়ার চাচা সালাম মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতেই অভিযুক্ত মাহফুজ মিয়া ও তার বাবা মাসুদ মিয়াকে আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন।

ইউসুফ মিহিরের বাবা কামাল মিয়া বলেন, আমি ১৫ দিনের ছুটিতে দেশে এসেছি। এ ঘটনার কিছুই জানতাম না। ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে সব শুনেছি। তার পরিস্থিতি ভালো না। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ছেলের এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ইটের আঘাতে মাথার খুলি ভেঙে যাওয়া মিহিরকে হাসপাতালে আনার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও বমি হওয়ার কারণে তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ছাড়া সাহেদ নামে আরেক কিশোরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাহফুজ ও তার বাবা মাসুদ মিয়াকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১২ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

জুতা পরে জানাজার নামাজ পড়া কি জায়েজ?

প্রতিদিনের সাধারণ যে অভ্যাসেই কমে যাচ্ছে আপনার মোবাইলের আয়ু

যে গ্রামে বসবাস করলেই মিলবে ২৭ লাখ টাকা!

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

১০

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

১১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

১২

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

১৩

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

১৪

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

১৫

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১৬

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১৭

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১৮

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১৯

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

২০
X