যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান তুহিন বলেছেন, ‘১৭ থেকে ১৮ বছরের ছেলেমেয়েরা আন্দোলন করছে অথচ তাদের চাকরির বয়স হয় ২৪ থেকে ২৫ বছরে। আমরা ব্যর্থ, দুঃখিত; আমরা ছেলেমেয়েদের বোঝাতে পারিনি। আমরা ওদের যদি আদর করে ডেকে বলতাম বাবারা তোমরা যেটা করছ (আন্দোলন) সেটার জন্য তোমাদের সময়ই তো হয়নি।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের ভিডিও কনফারেন্স রুমে সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান তুহিন বলেন, চাকরির জন্য পর্যায়ক্রমে প্রিলিমিনারি, লিখিত, সাইকোলজি, ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয়। এর পরই কোটার প্রয়োগ হয়। একসময় মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৩০ শতাংশ। কিন্তু সেটা কখনোই ব্যবহার হয়নি। কারণ আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের এত ছেলেমেয়ে নেই। থাকলেও তারা পাস করতে পারে না। কোটার মধ্যে ব্যবহার হয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ। বাকি ২২ শতাংশ মেধাবীদের দিয়ে পূরণ করা হয়েছে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান তুহিন আরও বলেন, আপনাদের ছেলেমেয়েদের বোঝান। তাদের বলেন, বাবারা তোমাদের আন্দোলনের সময় তো এখন নয়। এসব আন্দোলনে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করা হলো। তিন লাখ মানুষ মেট্রোরেলে চলাচল করত, জ্যাম হতো না। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে, জ্যাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, এসব ধ্বংসলীলা করে জনগণের তো কোনো লাভ নেই। একটা স্থাপনা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। অথচ কয়েক ঘণ্টার আগুনে সেটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংসদ সদস্য দোয়া করেন। ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, থ্যালাসেমিয়া, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ৬৭ জন রোগীর মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) নারায়ন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইমরানুর রশীদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন সুলতানা, সমাজসেবা কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দীন, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি আজহার আলী, পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ নূরুল হক বিন্তু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন