বিএনপির মহাসমাবেশ এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে করে ঢাকায় ঢুকেছেন দুদলের নেতাকর্মীরা। ঢাকার সব প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে এসব যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি তল্লাশি করা হলেও আওয়ামী লীগের গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের গেটে শান্তি সমাবেশে অংশ নিতে সকালে ৩০০টির বেশি গাড়ি নিয়ে রওনা হন। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত থেকেই পুলিশের চেকপোস্টে ঢাকামুখী বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীদের তল্লাশি করা হলেও এসব গাড়ি নির্বিঘ্নে পার হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার বেলা ১২টা থেকেই সাভার ও ধামরাইয়ের আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের গাড়ি বহর নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে রাজধানীতে ঢোকেন।
এ সময় মহাসড়কে মানিকগঞ্জ, কালিয়াকৈর ও টাঙ্গাইল থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বহনকারী বেশ কিছু গাড়িও দেখা যায়। আওয়ামী লীগের ব্যানার-ফেস্টুন সংবলিত এসব গাড়ি থেকে সরকার সমর্থিত স্লোগান দিতে শোনা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাভারের আমিনবাজার এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে আওয়ামী লীগের ব্যানার সংবলিত কোনো যানবাহনেই তল্লাশি করা হয়নি।
এ বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মোল্লা বলেন, ‘আমরা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মী দুই শতাধিক গাড়ি নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে ইতোমধ্যে সমাবেশে পৌঁছে গেছি।’
তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা গাড়িবহর নিয়ে এসেছি কোনো তল্লাশি ছাড়াই। আমাদের কেন চেকপোস্টে থামাবে। আমাদের কেন তল্লাশি করবে।’
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা কালবেলাকে বলেন, ‘তল্লাশি ছাড়া কোনো বিশেষ দলের গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এটি সত্য নয়। তবে দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমে যখন পুলিশ সদস্যরা হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তখন তল্লাশি চৌকিতে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব ছিল। তা ছাড়া তখন পুলিশ সদস্যরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন।’
মন্তব্য করুন