নোয়াখালীতে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও সড়কে চাঁদাবাজি ঠেকাতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর শাখার কর্মী, সদস্য এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কের মাইজদী বাজার, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, টাউন হলের মোড়, বড় মসজিদ মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্ট এবং বেগমগঞ্জ পৌরসভার চৌরাস্তা ও চৌমুহনী বাজারে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন তারা৷ জ্যাম প্রতিরোধে এ সময় ছাত্রশিবিরের কয়েকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যকে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিতে দেখা যায়। কেউ যাতে সড়কে চাঁদাবাজি করতে না পারে, কেউ যদি চালকদের থেকে চাঁদা দাবি করে তাহলে তাদের জানানোর জন্য বলা হয়। চাঁদাবাজদের সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানায় তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্টকে বিদায় করে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করায় আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। শহরকে সাজানো-গোছানো, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব ও নির্দেশনা দিয়েছি। তারা সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন।
ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর সভাপতি আবু সায়েদ সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অনেক রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী মানুষের দোকানপাটে লুটপাট ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলা ও হামলার চেষ্টা করছে। আমরা সবার নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। সোনাপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে শিবির কর্মীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে৷ পুলিশ ভাইদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আমরা তাদের এবং থানার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছি।
উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকেই ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নোবিপ্রবি ও নোয়াখালী কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায়। তারা সড়ক বিভাজকের গাছগুলোকে পরিচর্যা করে।
মন্তব্য করুন