ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। এখন প্রায় প্রতিদিনই রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা ও গ্রামে গ্রামে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীকে সতর্ক করতে গ্রামের মসজিদে মসজিদে চলছে মাইকিং।
রাত জেগে গ্রামে গ্রামে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের মানুষ। জেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আনসার ভিডিপির সদস্যরা আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে।
রোববার (১১ আগস্ট) জেলা আনসারের কমান্ড্যান্ট মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, সুযোগ বুঝে ডাকাতরা গবাদি পশু থেকে শুরু করে স্বর্ণালংকার লুটে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পাশাপাশি ডাকাতদের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে প্রতিদিন। গত কয়েকদিনে জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ডাকাত হানা দিচ্ছে। ডাকাতরা নিরীহদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও গোয়াল থেকে গরু লুট করে নিয়ে গেছে। রাতে এলাকাগুলো দিয়ে চলাচল করলে মানুষকে ছিনতাইয়ের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে পুলিশ না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক এখনো কাজ করছে।
ভুক্তভোগী এলাকাগুলোর বেশিরভাগ মানুষ জানান, যারা ডাকাতি করছে তাদের বেশিরভাগ টোকাই এবং উঠতি তরুণ। এই পরিস্থিতিতে এলাকাভিত্তিক পাহারা বসিয়ে রাতভর চলছে ডাকাত প্রতিহতের চেষ্টা। ডাকাত প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আনসার-ভিডিপির নরসিংদী জেলা কমান্ড্যান্ট অ্যাডজুটেন্ট মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানায় থানায় দায়িত্বরত আনসার-ভিডিপির সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ১৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। স্ব-স্ব থানায় পুলিশ যোগদান করছে। তাছাড়া সেনাবাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সবার সহযোগিতা পেলে খুব দ্রুতই জেলার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন