উপজেলা পর্যায়ে আদালত ও জরুরি অবস্থা বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, বিচার সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আদালত বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নাই। এতে মামলার চাপ কমার পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। বিচার প্রার্থী যথাসময়ে বিচার পাওয়া এটি তার ন্যায্য অধিকার।
সোমবার (০৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জনসাধারণ তার কাঙ্ক্ষিত বিচার সেবা থেকে বঞ্চিত। মামলাজট থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বিচার বিভাগকে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নাই। আদালতগুলোতে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে তৃণমূল পর্যায়ে বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই উপজেলা পর্যায়ে আদালত বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগকে আমরা জোর সমর্থন জানাই। এতে দ্রুত বিচার কার্যক্রম নিষ্পত্তি হবে বলে এবি পার্টি মনে করছে।
ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক বলেন, শিরোনামে আমরা সবাই একমত হচ্ছি তবে ভিতরে পদ্ধতি, প্রয়োগ নিয়ে আমরা অনেক কিছুতে একমতে পৌঁছাতে পারছি না। আজকে উপজেলা আদালতে স্থাপন নিয়ে সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে আসছে কিন্তু এটি কতোগুলো উপজেলায় হবে, কোন কোন উপজেলায় হবে, কোন সময়ের মধ্যে হবে? এসব বিষয় নিয়ে আমরা একমতে আসতে পারি নাই।
তিনি আরও জানান, বর্তমান বিদ্যমান আইনে সংবিধানের ১৪১নং ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে থাকেন, এই পদ্ধতিতে পরিবর্তনের পক্ষে সকল রাজনৈতিক দলই একমত পোষণ করেছেন, তবে পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমতে পৌঁছতে পারে নাই। শুধু ভিতরের বিষয়বস্তুতে একমতে পৌঁছাতে না পারার কারণে পুরো সংস্কার প্রক্রিয়া দুরূহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছি।
মন্তব্য করুন