স্বল্প সময়ের মধ্যে এ স্বৈরাচারের পতন কীভাবে হলো আমার এটা বিশ্বাস হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর পর একটি মঞ্চে উঠে মাইক ধরার সুযোগ পেয়েছি। যখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে ইমিগ্রেশন পার হলাম তখনও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আমি আদৌ কি বাংলাদেশে এসেছি নাকি অন্য কোথাও পৌঁছে গেছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) চট্টগ্রাম নগরের বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং শেখ হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে’ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আরও বলেন, দেশ আবার স্বাধীন হল। এ স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। ৫০ বছর পর এ তরুণ তরুণীরা ইতিহাস লেখবে। কে বেঈমান ছিল আর কে দেশপ্রেমিক ছিল সেটা অবশ্যই লিখে যাবে।
তিনি বলেন, আমার ছোট ছোট সন্তানরা রাস্তায় নেমেছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের হাজারো সালাম জানাই। আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে তাদের কাছে। যারা ন্যায় বিচারে বিশ্বাস করে তারাই এভাবে গুলির সামনে এগিয়ে যেতে পারে। পিছপা হয় না।
এ সময় মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগের আয়নাঘরে এখনো কতজন বন্দি আছে সেটা কেউ জানে না। কারা এখনও বন্দি আছে, টর্চার সেলে আছে, আমরা তাদের দেখতে চাই। জনগণের রায় বাস্তবায়নের জন্য একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করা দরকার।
এতে অন্যান্যর মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন