ঝিনাইদহ ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কর্মস্থল ত্যাগ করলেন ঝিনাইদহ পুলিশের ‘দলবাজ’ দুই কর্মকর্তা

বাঁ থেকে- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদ। ছবি : সংগৃহীত
বাঁ থেকে- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদ। ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের পর এবার কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন জেলা পুলিশের ‘দলবাজ’ দুই কর্মকর্তা। সোমবার (১৯ আগস্ট) তারা ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন বলে জানা যায়।

এর আগে গত রোববার দুপুরে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে এ সিদ্ধান্ত জানান পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান।

কর্মস্থল ত্যাগ করা কর্মকর্তারা হলেন- সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদ।

রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাবিক মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরাইরা ও সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। সেসময় ছাত্র প্রতিনিধিরা ছাত্র আন্দোলনের সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ছাত্রনেতারা দ্রুতই এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝিনাইদহ ছাড়ার আলটিমেটাম দিলে পুলিশ সুপার ছাত্রদের দাবির মুখে মীর আবিদুর রহমান ও এসআই ফরিদকে ছুটি দিয়ে কর্মস্থল ছাড়ার কথা জানান। এর পর সোমবার ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ঝিনাইদহ ত্যাগ করেন বলে জানা যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরায়রা কালবেলাকে জানান, প্রশাসনে হাসিনার কোনো দোসরকে রাখা হবে না। তারা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে আবারও আ.লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও এসআই ফরিদ নিজেদের ছাত্রলীগের টোকাই কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীর মতো।

এ বিষয়ে সোমবার ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান হোয়াটসঅ্যাপে গণমাধ্যমকে জানান, আপনারা আমাকে গত দেড় বছর ধরেই দেখেছেন। যে কোনো সমস্যায় আমি নিজে সবসময় ছুটে গেছি। আমি ঘুষখোর অফিসারও নই। এটা সত্য যে, আমার মাথা গরম ও বদমেজাজি। কোটা আন্দোলনের সময় আমি সামনে থেকে লিড দিয়েছি। চিল্লাচিল্লি করেছি, ধমক দিয়েছি, আকাশে ছররা গুলি ছুড়েছি, রেগে গিয়ে আবোল-তাবোল বলেছি, ইট খেয়েছি; কিন্তু এসব করেছি বলেই ঝিনাইদহে কেউ হতাহত হয়নি। আল্লাহ রক্ষা করেছেন সবাইকে। তবুও ছাত্রসমাজ আমার ওপর ক্ষিপ্ত। আমি তো চলেই গেলাম। পোস্টিংও হয়েই যাবে। আমি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র। কখনো ছাত্রলীগ করিনি। এই বক্তব্যের মধ্যে তিনি তার ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমরা এসএসসি বিরাশিয়ান চট্টগ্রামের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বন্ধু সম্মিলন

পিরোজপুরে কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জুলাই যোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি

রাজবাড়ীতে ব্যতিক্রম আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও জুলাই সনদে সই করেনি যে দল

বান্দরবানের আলীকদমে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কুমিল্লায় নানা আয়োজনে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কালবেলার বর্ষপূর্তি উদযাপন

জুলাই সনদ স্বাক্ষরে বিরত থাকার কারণ জানালেন আখতার

মায়ামি ম্যাচ বিতর্কে উত্তাল লা লিগা, খেলোয়াড়দের ভাবনায় প্রতিবাদ

১০

প্রাইভেসি পলিসি কেন জরুরি

১১

কালবেলার গৌরবের ৩ বছর পূর্তিতে পটুয়াখালীতে বর্ণিল উৎসব

১২

বিএনপিতে ঐক্যের নজির, সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন নেতৃত্ব

১৩

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সহজ স্কিন কেয়ার রুটিন

১৪

পেন কানাডার ‘ভয়েসেস অব ফ্রিডমে’ বাংলাদেশের আবদুল্লাহ আল ইমরান

১৫

চুয়াডাঙ্গায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৬

বকেয়া বেতনের অভিযোগে বসুন্ধরা কিংস ছাড়লেন তারিক কাজী

১৭

এনসিপির অনুপস্থিতি নিয়ে মির্জা ফখরুলের প্রতিক্রিয়া

১৮

পবিত্র নগরী মক্কাকে ঘিরে সৌদির নতুন পরিকল্পনা

১৯

সাতক্ষীরায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করল ছাত্রদল

২০
X