ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের পর এবার কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন জেলা পুলিশের ‘দলবাজ’ দুই কর্মকর্তা। সোমবার (১৯ আগস্ট) তারা ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন বলে জানা যায়।
এর আগে গত রোববার দুপুরে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে এ সিদ্ধান্ত জানান পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান।
কর্মস্থল ত্যাগ করা কর্মকর্তারা হলেন- সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদ।
রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাবিক মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরাইরা ও সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। সেসময় ছাত্র প্রতিনিধিরা ছাত্র আন্দোলনের সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ছাত্রনেতারা দ্রুতই এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝিনাইদহ ছাড়ার আলটিমেটাম দিলে পুলিশ সুপার ছাত্রদের দাবির মুখে মীর আবিদুর রহমান ও এসআই ফরিদকে ছুটি দিয়ে কর্মস্থল ছাড়ার কথা জানান। এর পর সোমবার ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ঝিনাইদহ ত্যাগ করেন বলে জানা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরায়রা কালবেলাকে জানান, প্রশাসনে হাসিনার কোনো দোসরকে রাখা হবে না। তারা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে আবারও আ.লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও এসআই ফরিদ নিজেদের ছাত্রলীগের টোকাই কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীর মতো।
এ বিষয়ে সোমবার ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান হোয়াটসঅ্যাপে গণমাধ্যমকে জানান, আপনারা আমাকে গত দেড় বছর ধরেই দেখেছেন। যে কোনো সমস্যায় আমি নিজে সবসময় ছুটে গেছি। আমি ঘুষখোর অফিসারও নই। এটা সত্য যে, আমার মাথা গরম ও বদমেজাজি। কোটা আন্দোলনের সময় আমি সামনে থেকে লিড দিয়েছি। চিল্লাচিল্লি করেছি, ধমক দিয়েছি, আকাশে ছররা গুলি ছুড়েছি, রেগে গিয়ে আবোল-তাবোল বলেছি, ইট খেয়েছি; কিন্তু এসব করেছি বলেই ঝিনাইদহে কেউ হতাহত হয়নি। আল্লাহ রক্ষা করেছেন সবাইকে। তবুও ছাত্রসমাজ আমার ওপর ক্ষিপ্ত। আমি তো চলেই গেলাম। পোস্টিংও হয়েই যাবে। আমি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র। কখনো ছাত্রলীগ করিনি। এই বক্তব্যের মধ্যে তিনি তার ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চান।
মন্তব্য করুন