নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নোয়াখালীতে আশ্রয় নিয়েছে ৩৬ হাজার মানুষ, পানিবন্দি ২০ লাখ

নোয়াখালীতে পানিবন্দি ২০ লাখ মানুষ। ছবি : কালবেলা
নোয়াখালীতে পানিবন্দি ২০ লাখ মানুষ। ছবি : কালবেলা

ভারি বৃষ্টি ও ফেনীর মহুরী নদী থেকে নেমে আসা পানিতে নোয়াখালীতে বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। এতে ৪ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া গ্রামীণ সড়কে সব ধরনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগেই জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, মানুষজন খুবই মানবেতর অবস্থায় জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি ও নোয়াখালী কলেজের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়াও ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর থেকে হেল্প লাইন খুলে বন্যার্তদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। কাজ করছে অনেক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ আট উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জলাবদ্ধতায় পূর্ণ হয়ে গেছে। নোয়াখালী সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা বেশি ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া খালগুলো অবৈধভাবে দখল ও পৌর এলাকায় ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, ভোর ৬ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালীতে ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সক্রিয় লঘুচাপ ও মৌসুমি জলবায়ুর কারণে জেলায় আরও তিন দিন ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন জানান, জেলায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৭৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ভারি বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বেগমগঞ্জের একটি উপকেন্দ্রে পানি উঠে গেছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলা বন্যা হয়েছে। এসব উপজেলায় ইতিমধ্যে ৩৮৮ আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩৬ হাজার বন্যা আক্রান্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আমরা শুকনো খাবার দেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের উপজেলার কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। আমরা বিত্তশালী মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে আমরা চাহিদার কথা জানিয়েছি।

তিনি বলেন, নোয়াখালীতে প্রথমে জলাবদ্ধতাই ছিল। কিন্তু ফেনী জেলার মুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সেটা নোয়াখালীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে নোয়াখালীতে বন্যা দেখা দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ 

ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের কাছে হেরে সতীর্থদের ওপর ক্ষুব্ধ আর্জেন্টাইন লাউতারো

সীমান্ত দিয়ে ৯ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের

আন্দোলনের একপর্যায়ে ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই : নাহিদ ইসলাম

স্বামীকে রাতভর নির্যাতনের পর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

বিপিএল নিয়ে অবশেষে বড় ঘোষণা

কমলো সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার, আজ থেকে কার্যকর

৫ দিনেও হয়নি সেই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা

যুদ্ধবিরতির পর নিহতের নতুন সংখ্যা জানাল ইরান

১০

সিটিকে বিদায় করে ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের বড় অঘটন

১১

ডেঙ্গু জ্বর: কিছু তথ্য

১২

এইচএসসিতে প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

১৩

জুলাই অভ‍্যুত্থান : মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

৪৪তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম ফরহাদ

১৫

‘দুঃখিত, এবার আর তা হবে না’

১৬

‘কূটনীতির দরজা কখনো পুরোপুরি বন্ধ হয় না’

১৭

তেলের দামে বড় পতনের আভাস

১৮

এসএসসি পাসেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি

১৯

৩২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বাবা-ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২০
X