পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে সালদা নদীর পানি বৃদ্ধিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে কসবার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশাসন ও সরকারি-বেসরকারি সংগঠন-প্রতিষ্ঠানগুলো ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছে বন্যার্তদের কাছে।
বন্যার এই সংকটকালীন মুহূর্তে পানি আক্রান্তদের জন্য ত্রাণ দিতে আসা লোকদের কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত অর্থ। সেক্ষেত্রে প্রশাসনকেও তোয়াক্কা করছে না এই নৌকা ওয়ালারা। এতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা, খাদলা, মাদলা, পুটিয়া, শ্যামপুর এলাকার মত দূরবর্তী গ্রামগুলো ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে খুবই কম সংখ্যক মানুষ। তবে সেখানেই প্রয়োজন খাবার ও বিশুদ্ধ পানির।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসবার বায়েক থেকে নৌকা যোগে সেসব এলাকায় অন্যান্য দিনগুলোর ভাড়া প্রতি জনে ৫০-৬০ টাকা। আর পুরো নৌকা (রিজার্ভ) ভাড়া করতে লাগত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। সেখানে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় বন্যাকে পুঁজি করে ত্রাণ নিয়ে আগতদের কাছ থেকে আঁট হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছে। এতে অতিরিক্ত দাম চাওয়ায় দূরবর্তী সেসব এলাকায় না গিয়ে কাছাকাছি ত্রাণ দিয়ে ফিরে যাচ্ছে। এতে যাদের অতীব প্রয়োজন তারা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী জানান, বায়েক থেকে একটু দূরে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাব। নৌকার ভাড়া চেয়েছে ১৫ হাজার টাকা। কথা কাটাকাটি করে ১২ হাজার টাকায় রাজি করিয়েছি। তবে একটি মানবতার কাজ করতে গিয়ে যদি এত টাকা গুণতে হয় তাহলে বন্যার্তদের নিকট ত্রাণ পৌঁছাবে কম। আমার দাবি স্থানীয় প্রশাসন এর দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, দু-একটি অভিযোগ আমার কাছে এসে পৌঁছেছে নৌকাওয়ালার ভাড়া বেশি আদায় করছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। ঘাটে গিয়ে নৌকাওয়ালাদের সাথে কথা বলছি এবং তারা ভাড়া বেশি হাঁকাচ্ছে তাদেরকে সতর্ক করছি।
মন্তব্য করুন