রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ এএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে জমা হয়নি অর্ধেকের বেশি অস্ত্র, শুরু হচ্ছে যৌথবাহিনীর অভিযান

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এসব বৈধ অস্ত্রের মধ্যে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি, অর্থাৎ এখনো জমা হয়নি ৪৬ হাজারের বেশি। মঙ্গলবারের (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে জমা দিতে হবে সব অস্ত্র। সরকারের এমন নির্দেশ থাকলেও রংপুরে এখনো অর্ধেক বেশিই অস্ত্রই জমা হয়নি।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় ১৫টি অস্ত্র জমা হয়েছে। রংপুর জেলা ও নগর পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রংপুর জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর অর্থাৎ ১৯৭১ সাল থেকে রংপুর জেলায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ৪০৮টি। এরমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন আছে ৩৮৭টি।

সূত্রটি জানায়, ২০২৪ সালে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্র নবায়ন করা হয়েছে ২২৬টি। বাকি অস্ত্রগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় নবায়ন হয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তির কাছে অস্ত্র আছে তিনি বর্তমানে যে জেলায় বসবাস করছেন সেই জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে নবায়ন করেছেন।

জানা গেছে, এসব আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে সাবেক সেনাসদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক বীমায় রয়েছে।

রংপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যক্তি মালিকানায় ৮২টি অস্ত্র রয়েছে। এরমধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলায় রয়েছে ৮টি, পীরগাছায় ৫টি, পীরগঞ্জে ৮টি, গংগাচড়ায় ২টি, তারাগঞ্জে ৮টি ও বদরগঞ্জে ৪টি রয়েছে। বাকি ৪৭টি অস্ত্র রংপুর কোতোয়ালি ও মেট্রো এলাকায় রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এরইমধ্যে মিঠাপুকুরে ১টি, পীরগাছায় ১টি, পীরগঞ্জে ৮টি ও গংগাচড়ায় ৩টি অস্ত্র জমা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আগামী চার সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হবে। যারা এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গুলি জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবু বকর বলেন, কিছু অস্ত্র জমা পড়েছে। বাকিগুলোও জমা হতে পারে।

রংপুর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শাহনাজ বেগম জানান, যাদের কাছে বৈধ অস্ত্র আছে এমন হালনাগাদ তালিকা করেছি। অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র জমা হচ্ছে। যারা অস্ত্র জমা দেবেন না তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দেশে এখন লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির ৩১ দফা দেশের মানুষকে বাঁচানোর রূপরেখা : রাশেদুল আহসান

আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্তপোস্ট দখল করেছে পাকিস্তান

দল কমলেও বিপিএলে বাড়ছে ভেন্যু

লন্ডনে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখে যা বললেন রোজিনা

হঠাৎ কেন আফগান সীমান্তে হামলা চালাল পাকিস্তান

যুবদল নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

ইসরায়েলকে উড়িয়ে দিল নরওয়ে

কারিনার রাগ সামলানোর উপায় জানালেন সাইফ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহছানুল হক

হলুদ রঙে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলেছে বন লবঙ্গ

১০

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস আয়োজনে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

১১

ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

১২

গোল করে, করিয়ে দলকে জেতালেন মেসি

১৩

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১৪

বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতকারীদের জায়গা নেই : বিজিএমইএ সভাপতি 

১৫

অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ / বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

১৬

গাজায় নিশ্চিহ্ন মসজিদ, ধ্বংসস্তূপ থেকেই ভেসে আসছে আজান

১৭

সন্ত্রাস করে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া যায় না : জালাল উদ্দীন

১৮

টিভিতে আজকের যত খেলা

১৯

সীমান্তে আটক ১৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

২০
X