বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রবিউল ইসলাম রাহুল নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও তার সহোদর সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে দিনাজপুরে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে দিনাজপুর শহরের পাক পাহাড়পুর মহল্লার মো. রেজাউল ইসলামের ছেলে মো. রিয়াদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ হত্যা মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিনাজপুর সদর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. ফরিদ হোসেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসাইন বিপু, সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চেয়ারম্যান মো. রানা, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, চেয়ারম্যান জর্জিস সোহেল ও চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান, সাবেক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামসহ ১০৫ জনের নাম আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে মিছিলে অংশ নেয়। ওই দিন দুপুর ১২টায় মিছিলটি দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে থেকে আদালত চত্বরের সামনে পৌঁছায়। ওই সময় ইকবালুর রহিম ও তার ভাই সাবেক বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এবং উসকানিতে আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিলের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে পিস্তল, রিভলভার, হাঁসুয়া, বন্দুকসহ দেশি অস্ত্র ছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ আগস্ট রাতে রাহুলের মৃত্যু হয়।
রাহুল দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের পুত্র। সে সদর উপজেলার রাণীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ নিয়ে ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে মোট তিনটি হত্যা মামলা দায়ের হলো।
মন্তব্য করুন