বরিশালের মুলাদীতে আত্মগোপন থেকে ফিরেই বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছেন যুবলীগের কর্মীরা। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের তিন যুবলীগ কর্মী ওই এলাকার দুজনকে পিটিয়ে আহত করেন।
রোববার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কাজিরচর রেইন্ট্রিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের ফয়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী কবির হোসেন হাওলাদার (৫৪) এবং কালু বেপারির ছেলে বিএনপি কর্মী ইউনুছ বেপারি (৬৫)।
আহতরা অভিযোগ করেন, একই গ্রামের সাইফুল বেপারি (৩৫), ইউনুছ বেপারি (৩০) ও রফিক বেপারি (৪০) অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের আহত করেন। তারা সবাই কাজিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী এবং গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান আহত ইউনুছ বেপারি।
গত ৪ আগস্ট চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার জের ধরে এ হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহতরা। এ ঘটনায় রোববার বিকালে কবির হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন। মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত কবির হোসেন হাওলাদার জানান, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় রেইন্ট্রিতলা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের গুলি করার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। তখন যুবলীগ কর্মী সাইফুল, ইউনুছ ও রফিকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ওই যুবলীগ কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এক মাসের বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পরে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন তারা।
জানা যায়, রোববার কাজে যাওয়ার সময় কবিরের পথরোধ করে মারধর শুরু করেন যুবলীগ কর্মীরা। ওই সময় ইউনুছ ব্যাপারি তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগ কর্মী সাইফুল ব্যাপারি বলেন, প্রায় একমাস পর এলাকায় ফেরার পরে কবির হাওলাদার কটূক্তি করায় তার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হামলা কিংবা তাকে আহত করা হয়নি।
মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন