মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কফি খেতে প্রতিবেদকের জন্য ৫ হাজার টাকা বিকাশ করলেন ক্যাসিনো আনোয়ার

ক্যাসিনো সম্রাট আনোয়ার হোসেনের পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ওঠানো। ছবি : সংগৃহীত
ক্যাসিনো সম্রাট আনোয়ার হোসেনের পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ওঠানো। ছবি : সংগৃহীত

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের কিয়াম উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার (৩২)। আরব্য রজনির রূপকথাকে হার মানিয়েছে অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট আনোয়ার হোসেনের উত্থানের গল্প।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কালবেলা অনলাইনে ‘দুবাই থেকে দেশে ফিরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ক্যাসিনো আনোয়ার’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে ক্যাসিনো আনোয়ার প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। যোগাযোগ করতে না পেরে প্রতিবেদকের ঘনিষ্ঠ একজনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। তিনি একটি আঞ্চলিক পত্রিকার প্রতিনিধি। এরপর রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই ক্যাসিনো আনোয়ার তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং করতে থাকে। এক পর্যায়ে হঠাৎ তার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেয় নিউজ আটকানোর জন্য না শুধু কফি খাওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা বিকাশ করলাম। কেন যে মানুষ আমার শত্রু হয়। আমার এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন আমার দ্বারা কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সবাই উপকৃত হয়েছে।

উল্লেখ্য, কালবেলার অনলাইন ক্যাসিনো এজেন্টদের নিয়ে চলমান সিরিজে রোববার ক্যাসিনো আনোয়ার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, একদিকে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চলছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান, অন্যদিকে দেশে ও বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে যাচ্ছেন বিকাশ কর্মী থেকে অনলাইন জুয়ার মাফিয়া এজেন্ট বনে যাওয়া এই আনোয়ার।

আনোয়ারের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের তদন্ত চলমান বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।

২০২২ সালে অনলাইন জুয়ায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান আনোয়ার। এক সময় পাড়ি জমান দুবাইয়ে। কয়েক বছর যাবত সেখানে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ অনলাইন জুয়ার সাম্রাজ্য। বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে মাঝেমধ্যেই দেশে আসছেন, সম্পদ কিনছেন নিজের ও আত্মীয়-স্বজনের নামে, আবারও ফিরে যাচ্ছেন দুবাইয়ে। এভাবেই থেকে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

এক মাসের মধ্যে হাসিনার ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে : নাহিদ

২৮ নেতাকে ‘সুখবর’ দিল বিএনপি

আজই বানিয়ে নিন বাটার গার্লিক চিকেন

‘আ.লীগের চূড়ান্ত দাফন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই যেন থেমে না যায়’

রাতে বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

হাসিনার রায়ের পর ভারতকে বাংলাদেশের চিঠি, কী বলা হয়েছে?

বিশেষ অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২

শেখ হাসিনার প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে : রাশেদ প্রধান

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

১০

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে আবু সাঈদের বাবার প্রতিক্রিয়া

১১

বনানীতে উদ্বোধন হলো সেভয়ের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট

১২

জনগণকে যে আহ্বান জানাল অন্তর্বর্তী সরকার

১৩

মৃত্যুদণ্ডের রায়ে কষ্ট অনুভব করছেন আইনজীবী আমির হোসেন

১৪

গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ

১৫

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও উদ্ভাবনী অর্থনীতি : বাংলাদেশের পরবর্তী চালিকাশক্তি

১৬

২১ নভেম্বর উপলক্ষে আইএসপিআরের বার্তা

১৭

২৩ মাস পর বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৮

তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করলেন জুয়েল

১৯

কান্নার শব্দ শুনে পরিত্যক্ত শৌচাগারে মিলল নবজাতক

২০
X