কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী কুমিল্লায়

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু ও নাজিফা মুনজারিন সিনতা। ছবি : কালবেলা
আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু ও নাজিফা মুনজারিন সিনতা। ছবি : কালবেলা

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন নাজিফা মুনজারিন সিনতা (২৫) নামের এক তরুণী। কুমিল্লার যুবক আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপুর (৩২) হাত ধরে বাংলাদেশে আসেন এ তরুণী।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার হোটেল এলিট প্যালেসের কনভেনশন হলে দুজেনর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন নাজিফা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লার উইন্ড কনভেনশন ও পার্টি সেন্টারে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান করা হয়।

নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা উইলিয়াম সিনাগা ও মাসনিয়ার ডুলকের মেয়ে। সিনতা মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। সিনতা বাংলাদেশে আসার পর ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।

বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার আলহাজ শামসুদ্দিন আহম্মদ ও ফরিদা ইয়াসমিনের ছেলে।

ইমতিয়াজ অপু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় ছিলাম। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় একই কোম্পানিতে কাজ করা সিনতার সঙ্গে। একপর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব হয় দুজনের। পরে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। সেই ভালোবাসাকে সত্যিকারের রূপ দিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই আমরা।

তিনি আরও বলেন, সিনতা মালয়েশিয়া থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে এবং পরিবারের সম্মতিতেই আমাকে বিয়ে করেছে। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় ফিরব আমরা। সেখানে গিয়ে সেদেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।

ইমতিয়াজ অপু বলেন, সিনতা খুবই ভালো মেয়ে। তার সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তাকে পেয়ে আমি ধন্য। আমরা যেন দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। আমি তাদের আতিথেয়তায় ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। এখানকার সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। অপু মানুষ হিসেবে অসাধারণ। সে অনেক কেয়ারিং একটা মানুষ। আমি তাকে পেয়ে ধন্য।

ইমতিয়াজ অপুর মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিদেশি মেয়েদের মনমানসিকতা এত সুন্দর হয়, এত আন্তরিক হয়, সিনতাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। সে আমার পুরো পরিবারের সঙ্গে মিশে গেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। আমার মনেই হয় না ঘরে নতুন বউ এসেছে, মনে হচ্ছে মেয়ে এসেছে। আজকে থেকে সিনতা আমার মেয়ে হয়ে থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘পাঠ্যসূচিতে মেয়েদের রাজনৈতিক চর্চা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

অস্ত্র নিয়ে ঘুরছিলেন যুবলীগ নেতা, অতঃপর...

বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

বইয়ের ভবিষ্যৎ মানুষের ভবিষ্যতের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ : সিরাজুল ইসলাম

আলেমরা ঐক্যবদ্ধ হলে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত : রফিকুল ইসলাম খাঁন

পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

ওয়ালটন গ্রুপে চাকরির সুযোগ, পাবেন লাভ শেয়ার

এমবিবিএস ডিগ্রি না নিয়ে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার আইন কার্যকরের দাবি 

‘পাচার হওয়া টাকার সঠিক পরিমাণ বের করা সম্ভব না’

স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার কারণ জানালেন তৌসিফ 

১০

সিলেটে শাওন হত্যাকাণ্ড, ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ২

১১

ইরাবের নতুন সভাপতি ফারুক, সম্পাদক সালমান

১২

কুড়িগ্রামে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৩

প্রধান উপদেষ্টার কাছে কী চাইলেন সাবিনারা?

১৪

ভিলেন ইস্যুতে যা বললেন ওমর সানী 

১৫

কে হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানাল জ্যোতিষী

১৬

ড. ইউনূসকে জার্সি উপহার দিল নারী দল

১৭

নরসিংদীতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই  

১৮

স্টেশন মাস্টারকে বেধড়ক পেটালেন যাত্রীর স্বজনরা

১৯

জাপানে ভারি বৃষ্টি, ২ লাখ মানুষকে সরে যাওয়ার আহ্বান

২০
X