রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ধস

ঝুঁকিতে ১০ হাজার পরিবার

রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ধস । ছবি : কালবেলা
রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ধস । ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (৬ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে দুটি স্পটে পাহাড়ধসে ইতোমেধ্যে দশটি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে ঘরগুলো। বাসিন্দারা কোনোরকম প্রাণ নিয়ে বেরুতে পারলেও অধিকাংশ ঘরের সব মালামাল পাহাড়ধসে চাপা পড়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

আরও পড়ুন : পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে কক্সবাজারে দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

এ ছাড়া উপজেলার রাজানগর, বেতাগীসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড জঙ্গল পারুয়া এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে দুটি স্পটে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সেমিপাকা, টিন ও মাটির তৈরি দশটি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- সোনাইছড়ি খালের উত্তর অংশের মোহাম্মদ মান্নান, নাছিমা আক্তার, আব্দুল গফুর ও মোহাম্মদ জামাল এবং দক্ষিণ পাড়ে মোহাম্মদ নাছের, মোহাম্মদ পারভেজ, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আবুল কালাম ও মোহাম্মদ সবুজ। এসব ঘরের বাসিন্দারা প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা ঘর থেকে কিছুই নিয়ে বের করতে পারেনি। এই স্পট ছাড়াও পারুয়ার আরও বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধস হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো নয় উল্লেখ করে তিনি পাহাড়ের গায়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পরিষদের সব ইউপি সদস্যসহ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলের বসবাসরত অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের নিরাপদে সরে যাওয়ায় জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বললেও অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেই বসবাস করে চলেছে। দুর্গত মানুষের জরুরি আশ্রয় নিতে নিকটস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এরপরও তাদের নিরাপদে সড়িয়ে নেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী বলেন, পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সহায়তা করা হচ্ছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ঈমামদের মাধ্যমে বারবার জানানো হয়েছে। এমনকি মাইকিংও করা হচ্ছে। এরপরও যারা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস অব্যাহত রেখেছে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে আসছে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের নাম আলোচনায়

তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি

দেশ এখন স্থিতিশীল, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গোডাউনে মিলল টিসিবির বিপুল তেল

‘বাদল ভাই, আপনার মৃত্যুতে শোকাহত অনেক’

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরার তালিকায় সাকিবের অবস্থান কত

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী আবিদুলকে নিয়ে অপপ্রচার

বাচসাস পরিবারের সদস্য বাদল আহমেদ আর নেই

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি, সপ্তাহে দুদিন ছুটি

উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : সারজিস

১০

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ৭ দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১১

শত শত গাছ আর হাজারের বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল 

১২

শিমুল বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন মনোয়ারুল কাদির বিটু

১৩

বন্ধুকে বাড়িতে এনে খাওয়ায় নাজমুল, এরপর কুপিয়ে হত্যা

১৪

সিনেমার নায়ক থেকে জনতার নায়ক: থালাপতি বিজয়ের রাজনীতিতে অভিষেক

১৫

মেনস্ এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের জার্সি উন্মোচন

১৬

পর্যটক পরিচয়ে রুম বুকিং, অতঃপর...

১৭

আকিজ বশির গ্রুপে নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৮

চট্টগ্রামের সৈকত বার ও রেস্তোরাঁয় আগুন

১৯

ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা ইয়েমেনে, নিহত ৬

২০
X