বিরামহীন ভারি বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারেরে প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ঝালকাঠির চার উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৬-৭ ফুট বেড়েছে। ভেঙে গেছে কাঁঠালিয়া শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ডালির খালের বাঁধ। ফলে তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে বাধঁসংলগ্ন এলাকা।
কচুয়া-শৌলজালিয়া সংযোগ সড়কটি সাবেক ইউপি সদস্য নাজির আহমেদ খন্দকারের বাড়ির সামনে থেকে ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে লোকালয় ও বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ-ভবন তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে সড়কে পানি, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যান চলাচল বন্ধ
কৃষি ও মৎস্যর প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। পাকা আউশ ও আমনের বীজতলাসহ কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসলের মাঠ পানিতে ডুবে আছে। ভেসে গেছে পুকুর ও হ্যাচারিসহ বিভিন্ন জলাশয়ের মাছ।
জোয়ার ও বিরামহীন বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, গোয়ালঘর, গবাদিপশুর খাবার, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের রান্না ঘরের চুলায় পানি ঢুকে পড়ায় ওই পরিবারগুলো রান্না করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে মারাত্মক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
কাঠালিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, ১১০০ পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বেড়িবাধঁ না থাকায় এ ধরনের ক্ষতি প্রতি বছরই হচ্ছে।
কাঠালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ জানিয়েছেন, পাকা, আউশ ও আমনের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় প্রয় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন