খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ছোট মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাবিত অঞ্চলের পরিবারসমূহ মেরুং ইউনিয়নের আরএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহামুদা বেগম লাকী আশ্রয় নেওয়া ১০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারবিতরণ করেছেন।
ভারি বর্ষণে দীঘিনালা-সাজেক সড়ক তলিয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ১নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহামুদা বেগম লাকী জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া শতাধিক পরিবার ছাড়াও প্রায় তিন হাজার পরিবার পার্শ্ববর্তী পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: জেগে আছে শুধু ঘরের চাল
৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা জানান, কবাখালী ইউনিয়ন ছয়টি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, দীঘিনালা উপজেলার ২১ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তলিয়ে গেল ২২৮৩টি ঘর
মন্তব্য করুন