শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ত্রিভুজ প্রেমের বলি হলো সুমন

শেরপুরে নিখোঁজ তরুণের মরদেহ উদ্ধার, প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বে তিনজন গ্রেপ্তার
নিহত সুমন। ছবি : সংগৃহীত

শেরপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেপ্তার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়ায় ওই তরুণী। তাই প্রথম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে দ্বিতীয় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। যদিও পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।

জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।

এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইপিএল: কোন দলে কে থাকলেন, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ তালিকা

পাবলিক রিলেশনস অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

দাবি পূরণের আশ্বাস, বিচারকদের আজকের কলমবিরতি কর্মসূচি স্থগিত 

১৬ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

বিএনপি যা অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে : খোকন

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে নৌকাডুবি, মৃত্যু ৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

সকালের কিছু ভুল অভ্যাসেই বাড়তে পারে হার্টের ঝুঁকি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে জরুরি অভিযোগ করছে লেবানন

ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু 

১০

রক্তক্ষয়ী হামলার মধ্যেই কাতারে কঙ্গো শান্তি চুক্তি

১১

তারেক রহমানের ৩১ দফাই রাষ্ট্র গঠনে সর্বজনীন দিকনির্দেশনা : মনিরুল হক চৌধুরী

১২

আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১৩

ব্র্যাক এনজিওতে চাকরির সুযোগ, সপ্তাহে দুদিন ছুটি

১৪

চাঁদাবাজির সময় ইউপি সদস্যসহ আটক ১০

১৫

১৬ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭

১২০০ টাকার জন্য ব্যবসায়ীকে হত্যা, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

১৮

জালে আটকা শঙ্খচিল ফিরল আপন ঠিকানায়

১৯

রাজধানীতে কলেজের সামনে বাসে আগুন

২০
X