ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো নীলফামারীর আরও দুই উপজেলা ডোমার ও জলঢাকা। এ নিয়ে জেলার সৈয়দপুর বাদে পাঁচ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ডোমার, জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার ১৯৮ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার মাঝে জমিসহ থাকার ঘর বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধামন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স শেষে জলঢাকা, ডোমার ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে পৃথক পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জলঢাকা উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপজেলায় পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে সেখানে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৫ পরিবারের হাতে জমির দলিলসহ ঘরের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জেলার জলঢাকা উপজেলায় ২৫টি, ডোমার উপজেলায় ৪২টি ও সৈয়দপুর উপজেলার ১৩১টিসহ মোট ১৯৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে কয়েক ধাপে জেলার ছয় উপজেলায় মোট ৪ হাজার ৫২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর।
এ যাবৎ জেলায় সর্বমোট ৪ হাজার ৭২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসিতকরণের মধ্যে দিয়ে জেলার মোট ছয়টি উপজেলার মধ্যে ডিমলা, সদর, কিশোরগঞ্জ, ডোমার ও জলঢাকা উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো। সৈয়দপুর উপজেলায় নতুন করে আরও শতাধিক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা পাওয়া যাওয়ায় ওই সব পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই এসব পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে সৈয়দপুর উপজেলাও ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা মুক্ত হবে।
মন্তব্য করুন