সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষকতা ছেড়ে মাল্টা চাষে বাজিমাত

মাল্টা চাষে বাজিমাত। ছবি : কালবেলা
মাল্টা চাষে বাজিমাত। ছবি : কালবেলা

নাটোরের সিংড়ায় বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মাল্টা। উপজেলার জামতলী এলাকায় ৯ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষি আতিকুল রহমান ও আবু সাইদ। সমতল ভূমিতে এ ফল চাষে সফল হওয়ায় এলাকায় তারা মাল্টা চাষি আতিকুর ও সাইদ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।

জানা যায়, আতিক পেশায় বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও তার ভাই আবু সাইদ পেশায় বেকার ছিলেন। এক সময় বাড়তি আয়ের আশায় ওমরপুর শতিশচদ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের হাইস্কুল শাখার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে তিনি সেখানে বেতন ভাতা না হওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নেয় পেশা থেকে।

শিক্ষক থাকা অবস্থায় ইউটিউবে দেখে তার মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহ জন্মে। জামতলী এলাকায় নিজেদের ৯ বিঘা জমিতে মিসরীয় জাতের মাল্টা চাষ করেন। তার বাগানে বর্তমানে ৮০০টি মাল্টা গাছ রয়েছে। চারা রোপণের আড়াই বছর পর ফল ধরতে শুরু করলেও তিন বছর পর প্রতিটি গাছে পূর্ণাঙ্গরূপে ফল ধরা শুরু করে। প্রতিটি গাছ থেকে ৮০ থেকে ৯০টি মাল্টা পান তিনি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাগানে সারিবদ্ধ মাল্টার গাছ। বাগানে আট-দশজন শ্রমিক কাজ করছেন। তারা সারা বছরই এ বাগানে কাজ করেন। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে ১২ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে। মাল্টা চাষ করে আতিকুর ও আবু সাইদ এখন সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন। এই মৌসুমে মাল্টা বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। খরচ বাদে তার লাভ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

রাজধানী, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর, নীলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে মাল্টা নিয়ে যায়।

আবু সাইদ কালবেলাকে বলেন, মানুষকে ফরমালিন মুক্ত নিরাপদ ফল খাওয়ানোর কথা চিন্তা করেই আমাদের নিজস্ব জমিতে মাল্টার বাগান করেছি আমরা দুই ভাই। মাল্টা চাষে কৃষি বিভাগের পরামর্শসহ নানাভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। অল্প পরিশ্রমে কম খরচে মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়, কেউ চাইলেই উদ্যোগ নিয়ে সফল হতে পারবে।

সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ বলেন, মাল্টা চাষ করে আতিকুল ও আবু সাইদ সফল হয়েছেন। তার দেখা দেখি সিংড়া এলাকায় মাল্টা চাষের প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টঙ্গীতে উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

আপনার মোবাইল দিয়েই করুন টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন

১৯ বছর ধরে একটি সেতুর অপেক্ষায় ২০ হাজার মানুষ

২০টি ভয়ংকর জে-১০ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, খরচ ২৭ হাজার কোটি

লবণের মাঠ ও চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ

গাজাগামী ফ্লোটিলার ১৩০ কর্মীকে জর্ডানে পাঠাল ইসরায়েল

সাবের হোসেনের সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা করেন ৩ রাষ্ট্রদূত

নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সূচিতে পরিবর্তন

আবরার হত্যার বিচার করলেই আ.লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত : চরমোনাই পীর

১০

ফুসফুস ক্যানসারের এই ৫ উপসর্গ সাধারণ অসুখ ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো?

১১

ভৈরবে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পাদুকা খাতে উদ্ভাবন শীর্ষক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইন

১২

বিসিবিতে নতুন দায়িত্ব বণ্টন: কোন কমিটির নেতৃত্বে কে?

১৩

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার

১৪

মানসিক ভারসাম্যহীন মা, ফুটফুটে কন্যা সন্তান পেল নতুন ঠিকানা

১৫

ট্রাম্পের ‘ডাক্তার দেখানো উচিত’ মন্তব্যে গ্রেটা থুনবার্গের পাল্টা জবাব

১৬

১৭ মাসে কোরআনে হাফেজ, উপহার পেল রাদিফ

১৭

তিন মাসে ৫০ দিন অনুপস্থিত মেডিকেল অফিসার

১৮

কমিউনিটি ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ

১৯

‘দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে ৩ পরাশক্তি’

২০
X