জামালপুরের মেলান্দহের যুবলীগ নেতা মুজিবুল হাসান ওরফে শামীম হাজারীর বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার পেতে অনশনের এক দিন পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী (২৭) ওই নারী।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে জামালপুর সদর থানায় মেলান্দহ হাজরাবাড়ী পৌর যুবলীগের সহসভাপতি মুজিবুল হাসান ওরফে শামীম হাজারীকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন তিনি।
এর আগে সোমবার (১২ জুন) দুপুর থেকে উপজেলার হাজরাবাড়ী বাজার এলাকায় ওই যুবলীগ নেতার বাড়িতে অনশনে বসেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে শামীম হাজারীর সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক হওয়ার পর গত এপ্রিল মাসে বিয়ের কথা বলে জামালপুর শহরের হাই স্কুল মোড়ের চারতলা একটি বাসার নিচতলায় বাসা ভাড়া নিয়ে দেন ওই নারীকে। সেখানেই ওই নারী বসবাস করতেন। মাঝেমধ্যে ওই ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শামীম হাজারী তাকে ধর্ষণ করতেন বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন। পরে বিয়ের জন্য তাকে চাপ দেন ওই নারী। এক পর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শামীম হাজারী। বাধ্য হয়ে তিনি সোমবার (১২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই নেতার বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে অনশন শুরু করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই নেতার স্বজনরা তাকে তিনতলা থেকে টেনেহিঁচড়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারী জামালপুর সদর থানায় অভিযুক্ত শামীম হাজারীকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাওনেওয়াজ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে শামীম হাজারীকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা করেন। ভিকটিমকে মেডিকেল করতে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মুজিবুল হাসান ওরফে শামীম হাজারীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মামলার আগে কালবেলার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এই মেয়ের আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। তার চাচাতো ভাই শেখ রানা আমার দোকান ঘর ভাড়া চেয়েছিল। আমি দিইনি। এ জন্য আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই এসব রটনা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন