রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০২ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জামাই’ আপ্যায়নে বক-বুনোহাঁস, ২ ভ্লগারকে খুঁজছে বন বিভাগ

ভাইরাল হওয়া দুই ভ্লগার আল-আমিন ও তুলি। ছবি : সংগৃহীত
ভাইরাল হওয়া দুই ভ্লগার আল-আমিন ও তুলি। ছবি : সংগৃহীত

বক ও বুনোহাঁস ধরে জবাই করে রোস্ট করে 'জামাইদের' আপ্যায়ন করার পরিকল্পনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আল-আমিন ও তুলি নামে দুই ভ্লগারকে খুঁজছে রাজশাহী বন বিভাগ। এর আগে, সম্প্রতি আল-আমিন ও তুলি নামে দুইজন ভ্লগার এসব পাখির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। আল-আমিনের ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বাসার স্পেশাল গেস্টকে (জামাই) তার হাতে থাকা পাঁচটি পরিযায়ী বক পাখি রোস্ট করে খাওয়ানোর কথা বলছেন। আবার, তুলির ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, তার বাবা রাতে বিল থেকে বুনোহাঁস পাখিটি ধরে নিয়ে এসেছেন।

এই ভিডিওতে প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরা ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়া উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে স্মারকলিপি দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)। ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে আল-আমিন ও তুলির শাস্তি দাবি করা হয়। এরপর থেকেই তাদের খোঁজে নেমেছে বন বিভাগ।

ইয়্যাসের ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, আল-আমিন ও তুলি প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরার ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়ার প্রচারনা দিচ্ছেন, যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে দুই ভ্লগার আল-আমিন ও তুলির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করা, পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় আনা ও নগরজুড়ে পাখির বিচরণ কেন্দ্র ও আবাসস্থলকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে সেখানে আলোদূষণ ও শব্দদূষণ রোধ করারও দাবি জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপির অনুলিপি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককেও দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আল-আমিন ও তুলি নামে ওই দুই ভ্লগারের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি উল্লিখিত কোনো পাখি বা পরিযায়ী পাখির ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি, মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করলে, দখলে রাখলে বা ক্রয় বা বিক্রি করলে বা পরিবহন করলে, তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে আমরা দুটি ভিডিও পেয়েছি। শুধু ভিডিও আছে তাদের নাম বা ঠিকানা নেই। আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। ওই ভ্লগারদের সন্ধানে নেমেছি। তাদের সন্ধান পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সীমান্তে পুশইনের চেষ্টায় বিজিবির বাধা, ১৪ ভারতীয় নাগরিককে ফেরত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে হাসনাতের প্রত্যাশা

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত নাসরি আফসুরা হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত

ডিবি পরিচয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, অতঃপর...

শুক্রবার গ্যাসের চাপ ১৮ ঘণ্টা কম থাকবে যেসব এলাকায়

সিলেট–রাজশাহী ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিপিএলের দ্বাদশ আসর

পে স্কেল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মচারীরা

রক্ত বের হওয়ার উৎস খুঁজতে মিলল মরদেহ

দেখে নিন বিপিএলের দলগুলোর অধিনায়কের নাম

চট্টগ্রাম বন্দর : আধুনিক ব্যবস্থাপনায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের নতুন ঠিকানা

১০

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানকে বাংলাদেশের ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ

১১

চট্টগ্রামের মালিকানা নিজেদের হাতে নেওয়ার কারণ জানাল বিসিবি

১২

শীতের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা

১৩

সাগরে ট্রলার ডুবিতে ৪ জেলে জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ২

১৪

এবার বিয়ে করলেন ডাকসু নেত্রী সেই তন্বী

১৫

মাথার দাম ছিল কোটি টাকা, সেই কমান্ডারকে হত্যা

১৬

বড়দিনে শান্তি আসুক দেশে : জয়া আহসান

১৭

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জন নিহত

১৮

যেভাবে ‘জেবু’ নাম পেল তারেক রহমানের বিড়াল

১৯

গুলশানের বাসায় ফিরলেন তারেক রহমান

২০
X