ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতি

কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। ছবি : কালবেলা
কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. মঈনুদ্দিনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন, কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় বক্তব্য দেন- প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চিফ ইন্সট্রাক্টর মো. বাছিরুল আলম, ইন্সট্রাক্টর মো. সাইদুল ইসলাম, মোছাম্মত হোসনা বেগম, ট্রেইনার ফয়সাল আহমেদ সৈকত, মো. জিয়াউর রহমান ও শিক্ষার্থী সৈকত ভুইয়া জয় প্রমুখ। বক্তারা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. মঈনুদ্দিন পটুয়াখালী থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগে বদলি হয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বদলি হয়ে এসেছেন। এরপর থেকে তিনি পটুয়াখালীর আদলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে একই কায়দায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে পরিচালনার চেষ্টা করছেন। তার অপকর্ম, অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যক্রমে অনীহা প্রকাশ করায় ৮ শিক্ষক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন এবং তার অপকর্মে সায় না দেওয়ায় ৪ শিক্ষককে তিনি শোকজ করেছেন। ফলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ মো. মঈনুদ্দিনের অপসারণ দাবি করেছেন। তাকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানান আন্দোলনকারীরা।

২০১৭ সাল থেকে ডাটা এন্ট্রি কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা আবু নাঈম চৌধুরী বলেন, বিগত ৭ বছর ধরে আমি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আসছিলাম। কিন্তু নতুন প্রিন্সিপাল মো. মঈনুদ্দিন আসার পর আমাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফরম বিতরণের কাজে দেয়। তখন আমি প্রিন্সিপালকে জানাই উপরোক্ত পদ থেকে নিচের পদে কাজ করা সম্মানজনক নয়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বাথরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব দেন। তিনি যোগদানের পর থেকে আমরা সবাই মানসিক অশান্তিতে ভুগছি।

এছাড়াও অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়মের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রশিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, অধ্যক্ষ এই কেন্দ্রে আসার পর থেকেই আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকা থেকে বিভিন্ন মালামাল কত দামে কোথায় কিনে থাকেন তা আমার জানা নেই। আমি শুধু তার কথা মতো স্বাক্ষর দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মঈনুদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার, মোবাইল সার্ভিসিং, ড্রাইভিংসহ ১৪টি প্রশিক্ষণ বিভাগে ৬শ শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুরো অ্যাশেজ থেকেই কি ছিটকে গেলেন অজি তারকা?

দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, শেষ স্ট্যাটাস ভাইরাল

ঢাবি শিক্ষক কার্জনের জামিন

৩ বছর বিদেশে থেকেও ভোগ করেন বেতন-ভাতা

রহস্যময় বেলুনে লিথুনিয়ার বিমানবন্দর বন্ধ

বাউল শিল্পী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় এনসিপির নিন্দা

রাতে ঘুমানোর আগে ঘরোয়া টোটকায় পা হবে নরম তুলতুলে

সিনিয়রদের মুখের ভাষাকে দুর্ভিক্ষ বলে এনসিপি নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

‘আগামী ৫ বছরে মামলার সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমবে’

২৪ ঘণ্টায় ১১৮ ভূমিকম্প

১০

রোনালদোর অবিশ্বাস্য বাইসাইকেল কিকে আল-নাসরের টানা নবম জয়

১১

দেড় বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১২

মার্কিন ভিসা না পাওয়ায় ভারতীয় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

১৩

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১৪

বনশ্রীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারীর

১৫

ধরা দেওয়া শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর যা বললেন আকবর

১৬

মানুষ ইসলামের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে : চরমোনাই পীর

১৭

লা লিগায় আবারও হোঁচট খেল রিয়াল

১৮

হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

১৯

এসির রিমোটে লুকানো ‘গোপন’ সুইচে বিদ্যুৎ বিল হবে অর্ধেক

২০
X