পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্ত্রীকে নিজের হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠিয়ে মুক্তিপণ চাইলেন ইদ্রিস

উদ্ধারের পর পেকুয়া থানায় মোহাম্মদ ইদ্রিস। ছবি : কালবেলা
উদ্ধারের পর পেকুয়া থানায় মোহাম্মদ ইদ্রিস। ছবি : কালবেলা

জঙ্গলে হাত-পা বাঁধা ছবি স্ত্রীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ ইদ্রিস। মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা না দিলে অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করবেন বলে হুমকিও দেন।

পরে পরিবারের সদস্যরা দফারফা করে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়।

টানা ৩ দিনের বিশেষ অভিযানে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ জানতে পারে, তিনি নিজেই সাজিয়েছিলেন এ অপহরণের নাটক।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের কাপ্তাই ওয়াসা মোহরার বালুর টাল এলাকা থেকে ইদ্রিসকে উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশ।

ঘটনাটি চট্টগ্রাম নগরীতে ঘটলেও ইদ্রিসের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মৌলভিপাড়া এলাকায়। তিনি মালয়েশিয়ার একজন প্রবাসী।

পুলিশ জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে পেকুয়ার টৈটং বাজার থেকে আত্মগোপনে চলে যান ইদ্রিস। এরপর তার স্ত্রীকে ফোন করে অপহৃত হওয়ার কথা জানান। স্ত্রীকে জানান, ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। নইলে অপহরণকারীরা তাকে মেরে ফেলবে। পরে পরিবারের সদস্যরা দফারফা করে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ।

পুলিশ প্রথমে ইদ্রিসের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ অবস্থান জানতে পেরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। তবে ইদ্রিসের সন্ধান না পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ইদ্রিসের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে— এমন একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে। ওই ব্যক্তি তার ভায়রা নবি হোছেন। নবি হোসেনকে চট্টগ্রাম নগর থেকে আটকের পরে তার সহায়তায় ইদ্রিসের সন্ধান পায় পুলিশ। অপহরণ নাটকের বিষয়টি নবি হোসেনকে আগেই জানিয়েছিলেন ইদ্রিস।

উদ্ধারের পর ইদ্রিস নিজ মুখে অপহরণটি তার সাজানো ছিল বলে শিকার করেন। তিনি জানান, মূলত ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অপহরণের নাটক সাজান তিনি নিজেই। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তার তিন লাখ টাকার মতো ঋণ রয়েছে। এ টাকা পরিশোধ করার প্রয়োজন ছিল। এ ছাড়া বেশি টাকা আদায় করতে পারলে তা দিয়ে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার।

ইদ্রিস আরও বলেন, দোকান থেকে রশি কিনে অন্য একজনের সহায়তায় নিজের হাত-পা বেঁধে ছবিটি স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিলাম। ঘটনাটি এত বড় হবে ভাবিনি। এখন আমি অনুতপ্ত।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা কালবেলাকে বলেন, ইদ্রিসকে আজ বুধবার দুপুরে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে। তার বিষয়ে আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চার বছর পর ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদ

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা

চাঁদপুরের বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পুলিশ আগে আমাকে গ্রেপ্তার করত, এখন স্যালুট দেয় : শাহজাহান চৌধুরী

সমাধান ছাড়াই শেষ হলো ববি ও বিএম কলেজের আলোচনা

দেশে আর কোনো স্বৈরশাসকের জন্ম হবে না : সেলিমুজ্জামান

আটকে গেল ১৩ শিক্ষার্থীর জজ হওয়ার স্বপ্ন

যৌন হয়রানীর অভিযোগে মামলা করলেন শুটার রত্না

মাতৃমৃত্যুর ৫৫ শতাংশই হয় প্রসব পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়

মজলুম থেকে জালিম হইয়েন না : আসিফ মাহমুদ

১০

ইসলামিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে : আমিনুল হক

১১

বন্যা-ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা দল

১২

দেশজুড়ে বিএনপির দোয়া মাহফিল / খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘সংকটময়’

১৩

বিএনপির আরেক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৪

যুক্তরাষ্ট্র ভিসা না দেওয়ায় বিশ্বকাপ ড্র বয়কট করছে ইরান

১৫

আরাকান আর্মির মাদক সন্ত্রাসে বিপর্যস্ত দেশ

১৬

বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজ চুরি, ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ

১৭

যুবদল নেতার শতাধিক ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ

১৮

প্রশিক্ষিত ২ কুকুর নিলামে বিক্রি

১৯

শিশুর মায়ের কোলে থাকার মতোই সনাতনীরা নিরাপদ থাকবে : কাজী আলাউদ্দীন

২০
X