ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মানিকগঞ্জে আজব এক সেতু!

মানিকগঞ্জে সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ৫৫ লাখ টাকার আজব সেতু। ছবি : কালবেলা
মানিকগঞ্জে সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ৫৫ লাখ টাকার আজব সেতু। ছবি : কালবেলা

মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রায় এক যুগ ধরে সড়কের মাঝখানে দাঁড়ানো এক সেতু। সেতুটির পাশ দিয়ে চলাচলকারী যেকোনো ব্যক্তির চোখ আটকে যেতে পারে এই স্থাপনা দেখে। কারণ সেতুটিতে ওঠার মতো দুই পাশে কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে মাঝ রাস্তায় তৈরি এ সেতু কোনো কাজেও আসছে না স্থানীয়দের।

ঢাকা-মানিকগঞ্জ-ঘিওর সড়কের ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ৪০ ফুট উচ্চতার এ সেতুটি। প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে সেতুটি; যা কোনো কাজেই আসেনি ওই পথে চলাচলরত গাড়ির চালক, যাত্রী ও স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা স্থাপনাটির কারণে একপাশ থেকে অন্যপাশের যানবাহন দেখা না যাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আজব স্থাপনাটি এখন পণ্যবাহী ট্রাক, বাস ও ছোট যানবাহন চালকদের গলার কাঁটা হয়ে আছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি তৈরি করে সরকারের অর্থের অপচয় করা হয়েছে। জনগণের করের টাকার এমন অপচয় মেনে নেওয়া যায় না।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ঘিওর থেকে পুরান ধলেশ্বরী নদীর ওপর তৈরি করা বেইলি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কটি সোজা করতেই সেখানে একটি নতুন সড়ক ও আন্ডারপাস নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প অনুযায়ী আন্ডারপাস তৈরির কাজ শুরু হলেও জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় সড়কটি করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে পরবর্তীতে প্রকল্পটি স্থগিত হয় এবং অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আন্ডারপাসটি।

ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, এই সেতুটির কারণে একপাশ থেকে অন্যপাশের যানবাহন দেখা না যাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থাপনাটি দ্রুত অপসারণ করা প্রয়োজন।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন,সেতুটি প্রায় ১২ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সময়ে প্রকল্প অনুযায়ী আন্ডারপাস তৈরি হলেও জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় সড়কটি করা সম্ভব হয়নি। জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে খুব দ্রুতই আন্ডারপাসটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হবে।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাইস-উল-হাসান মারুফ জানান, সরকার যেকোনো প্রকল্প জনগণের কল্যাণের জন্যেই হাতে নেয়। কিন্তু অনেক সময় নানা কারণে এর সুফল পাওয়া যায় না। এমনি এই প্রকল্পটি বাঁকা সড়ক সোজা করার জন্য হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু পাশের বেইলি সেতুটি পরিত্যক্ত হয়েছে সে জন্য আন্ডারপাসটিও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাতিয়ায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু চিরনিদ্রায় শায়িত

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

১০

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

১১

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

১২

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

১৩

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

১৪

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

১৫

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১৬

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১৭

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৮

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৯

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

২০
X