টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিয়ে না করলে চাকরি থাকবে না!

বিয়ে না করলে চাকরি থাকবে না!

রনি প্রতাপ পাল নামের এক সহকারী শিক্ষককে বিয়ে করতে সময়সীমা বেধে দিয়েছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ধোপাকান্দি ইউনিয়নের সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

গত ২৬ জুলাই দেওয়া লিখিত নোটিশে ওই শিক্ষককে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিয়ে করার আদেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায়জুডে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রনি প্রতাপ গোপালপুর উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পরেই তিনি এমপিওভুক্ত হন।

ওই শিক্ষককে দেওয়া নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি গত ৬/১১/২০১৬ তারিখ এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম শিক্ষা) পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর অবগত হলাম, আপনি অবিবাহিত রয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আপনাকে বারবার মৌখিকভাবে তাগিদ দিয়েছি বিবাহ করার জন্য। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, যোগদানের কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আপনি বিবাহ করেননি। বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। অভিভাবকগণ অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। সুতরাং বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে নোটিশপ্রাপ্তির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিবাহকার্য সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

এতৈ নোটিশ পাওয়ার দুই দিন পর শিক্ষক প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাব দেন। লিখিত জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার অভিভাবকরা আমার বিয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের বিয়ের পাত্রপাত্রী বাছাইয়ে গোত্র বা বর্ণের বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া হিন্দুধর্মাবলম্বীরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক পর্যন্ত বিয়ে করাটা শুভ মনে করে না। সুতরাং পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতির কারণে আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার অভিভাবকরা আমাকে বিবাহ করাবেন বলে জানিয়েছেন।’

এতে প্রধান শিক্ষক তাকে নানাভাবে মানসিক যন্ত্রণা দিতে শুরু করেন।

এ বিষয় সহকারী প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, রনি প্রতাপ ভালো শিক্ষক। তাকে নিয়ে কেউ কখনো কোনো প্রশ্ন তোলেননি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, রনি প্রতাপের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে সহশিক্ষা চলমান রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানে কোনো অবিবাহিত শিক্ষক থাকলে নানা অসুবিধা হতেই পারে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা জানান, ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। এভাবে নোটিশ করার এখতিয়ার কোনো প্রধান শিক্ষকের নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দারিদ্র্যসীমা নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল বিশ্বব্যাংক

সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন

ভুলেও এআই চ্যাটবটকে এই ১০ তথ্য দেবেন না

হাসপাতালে ঢুকে পড়ল সাপ, অতঃপর...

উত্তপ্ত যবিপ্রবি, স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

সাতক্ষীরায় বিএনপির তিন গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নেতাকর্মীদের আস্থায় রহমতুল্লাহ পলাশ

আশাশুনি-কালীগঞ্জে সন্ত্রাস ও দখলবাজির স্থান হবে না : কাজী আলাউদ্দিন

৩০ বছরের বিরোধ মিটিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

দেখে নিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি

তনির বিরুদ্ধে সাবেক স্বামীর এজাহার, জবাবে যা বললেন

১০

৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক

১১

জামায়াত আমিরের সঙ্গে কসোভোর সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

১২

একটানা লম্বা ছুটিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

১৩

টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট / চার দিনের মধ্যে দাবি না মানলে শাটডাউন

১৪

প্রকাশিত হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি, প্রথম দিনই মাঠে নামছে বাংলাদেশ

১৫

হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী? যা বলছেন পুষ্টিবিদ 

১৬

ধানের শীষের পক্ষে জনমত গড়তে হবে : মফিকুল হাসান

১৭

‘বাউলিয়ানার নামে ভণ্ডামি ছাড়ুন’

১৮

পুরুষ বাউলদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হাসিনা সরকারের

১৯

আবুল সরকারের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করল এনসিপি

২০
X