আশাশুনি প্রতিনিধি:
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আবারও বেপরোয়া ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আ.লীগ নেতা কোপাত ডাকাত

সেলিম ও কোপাত (বামে), ডাকাত দল নিয়ে প্রকাশ্যে চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত
সেলিম ও কোপাত (বামে), ডাকাত দল নিয়ে প্রকাশ্যে চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে পুরোনো সন্ত্রাসীরা। থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কোপাত বাহিনীর প্রধান কোপাত মোড়ল।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালানোর দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশে গুলি করে তিনজনকে হত্যা অভিযোগ রয়েছে কোপাত বাহিনীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিনই পালিয়ে যায় কোপাত ও তার দলের সদস্যরা। কিন্তু সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু এলাই ডাকাতের মৃত্যুর পর সেই বাহিনীর হাল ধরে ছোট ভাই কোপাত ডাকাত। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়ে ডাকাতি-লুটপাটের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কোপাত বাহিনীকে সব ধরনের সহায়তা দিতেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। কোপাতকে আইনের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও বানান তিনি। জুলাই আন্দোলনের সময় জাকির হোসেনের নেতৃত্বে আন্দোলন মোকাবেলায় সব রকম তৎপরতায় জড়িত ছিল কোপাত বাহিনী।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নাকনা গ্রামে মিছিল বের করেন ছাত্রজনতা। সেই মিছিলে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালায় কোপাত বাহিনী। মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে তিনজনকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। পরে উত্তেজিত জনতা জাকিরের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। এসময় জাকির নিহত হয়। তখন কোপাত বাহিনীর প্রধানসহ অন্যরা বাড়ি থেকে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।

এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার পর পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছেন। এলাকায় ফিরে মধ্যম একসরা গ্রামের খোরশেদ শিকারী, নাংলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, গোকুলনগর গ্রামের সেলিম রেজা, রেজাউল করিম সরদার ও আব্দুল্লাহ সরদারসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল গঠন করেছেন।

কোপাত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আশাশুনি থানায় বহু মামলা রয়েছে। ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের নাম উল্লেখ করে হওয়া যেসব মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে আশাশুনি থানায় মামলা নং ১১/২৯৬, ৪৩/২৪, ৬৩/২৪, ১২৩/২৪ ও ১২৪/২৩ অন্যতম। এছাড়া নন-জিআর মামলায় পরোয়ানা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে কোপাত ডাকাতি মামলায় একাধিকবার কারাগারে গেলেও দলীয় প্রভাবে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে।

এ বিষয়ে কোপাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ওসব সাংবাদিক-পুলিশ চিনি না। ক্ষমতা থাকলে আমার সামনে এসে কথা বলো।’

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নোমান হোসেন বলেন, কোপাত মোড়লের ব্যাপারে আমাদের অগ্রগতি আছে। অভিযানও চলমান রয়েছে। এই মুহূর্তে ওয়ারেন এবং মামলা নয় টেবিল হ্যান্ড এর মধ্যে পড়লেও তাকে গ্রেপ্তার করা হবে

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন পেছালে উগ্রবাদের উত্থান ঘটতে পারে : রিজভী

বৃষ্টিপাত-তাপমাত্রা কমবে না বাড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

রাতের বেলা গায়েবি নোটিশ আসে : সাদিক কায়েম

ইসলামী ব্যাংকে আলোচিত ‘বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন’ অবশেষে স্থগিত

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কমিটির নামে সভা-সমাবেশ নয় : মুক্তিযোদ্ধা দল 

জামালপুরে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

বুয়েট শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করার সাহস প্রশাসন কোথায় পায় : সারজিস

ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান

১০

‘সিজি বেশি থাকলেই উড়তে হয় না জেসমিন’—ফেসবুকে ভাইরাল সংলাপ

১১

কাজী নজরুলকে নিয়ে সত্যিকারের গবেষণা হয় না : দুদু

১২

৪ বছর পর শপথ নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান 

১৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার বাড়াতে চান? ব্যবহার করুন এই ১০টি হ্যাশট্যাগ

১৪

বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাঁধ উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

১৫

আলুর সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিল সরকার

১৬

বালু-পাথর নিয়ে সিলেট জেলা প্রসাশনের নতুন নির্দেশনা

১৭

‘কুত্তার মতো পেটায়, এজন্য কি যুদ্ধ করেছিলাম’, আদালতে রিয়াদ

১৮

কুয়েট শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

১৯

ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী রাখা নিয়ে উমামার উদ্বেগ

২০
X