বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জামায়াত কর্মীকে হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল খুনি

নিহতের পরিবারের আহাজারি। ছবি : কালবেলা
নিহতের পরিবারের আহাজারি। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার শেরপুরে মোবাইলে ডেকে নিয়ে জামায়াতের এক কর্মীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে নিহতের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তারা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নিহত ওই জামায়াত কর্মীর সন্ধান পান নিহতের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী (বস্তিপাড়া) গ্রামে।

নিহত কাবিল উদ্দিন (৩৯) গোসাইবাড়ী (বস্তিপাড়া) গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় ওয়ার্ডের একজন কর্মী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ নামক স্থানে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ মেলায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি। তবে ওই রাত ১০টা পর্যন্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। এ সময় প্রতিবেশী সজিব নামের এক যুবক তাকে দেখা করার জন্য মোবাইলে ডাকেন। তার সঙ্গে দেখা করেই বাড়ি ফিরবেন বলে স্ত্রীকে জানান। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরেননি।

নিহতের স্ত্রী শাপলা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তার স্বামীকে স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু কোনো সন্ধান মেলেনি। একপর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশের সন্ধান পান। এরপর জানতে পারেন, ঘটনার রাত তিনটার দিকে প্রতিবেশী সজিব (সম্পর্কে দেবর) তার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় সে। এতেই প্রমাণিত হয় সজিব ও তার সহযোগীরা স্বামী কাবিলকে হত্যা করেছে- বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু কেন তাকে খুন করা হয়েছে- সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল করিম বাবলু বলেন, সম্ভবত অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাবিল উদ্দিন। আর এই কারণেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান।

শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, কাবিল উদ্দিনকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তবে নিহতের মোটরসাইকেলসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র, রশি ও লোহার রড উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে। পাশাপাশি ঘাতকদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিকদার গ্রুপের ২০৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ 

যে কারণে কনসার্ট থেকে বাদ ন্যান্সি

নারায়ণগঞ্জ / আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের আড়াই কোটি টাকা অনুদান প্রদান

নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারই সম্ভব নয় : রহমাতুল্লাহ

ভারতের একাধিক চেকপোস্ট গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তানের সেনারা

ইরান দূতাবাসের শোক বইয়ে জামায়াত সেক্রেটারির স্বাক্ষর

ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার সুপারিশ

নির্বাচনে জোট গঠন নিয়ে যা জানালেন নাহিদ ইসলাম

মোহাম্মদপুর-বছিলা এলাকায় যানজট নিরসনে ডিএমপির আট নির্দেশনা

১০

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১১

বিচার চলাকালীন আ.লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

১২

‘সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই’

১৩

স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ 

১৪

‘সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন’ ড. ইউনূসকে মির্জা ফখরুল

১৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় / শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, বদলে গেল উত্তরপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি

১৬

শুরু হয়েছে ‘মুক্ত সুরের ছন্দ’

১৭

কোকা কোলা বর্জন শুরু করেছে ইউরোপের এক দেশ

১৮

সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন

১৯

হার্ভার্ডে মুসলিম শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা চরমে, ঝুঁকিতে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও

২০
X