কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিএনপি-আ.লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কুমিল্লা

লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মিসভা ভণ্ডুল। ছবি : কালবেলা
লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মিসভা ভণ্ডুল। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে গুলি ছুড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ওই ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শরিফ বলেন, একজনের পায়ে ও হাতে এবং অপরজনের মাথায় ছররা গুলি লেগেছে। ওরা এখন আশঙ্কামুক্ত।

হামলার সময় উন্দানিয়া গ্রামে বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

তবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িতে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর। দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াতউল্লাহর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪০ থেকে ৫০ জন নেতাকর্মী গৈয়ারভাঙা বাজারে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গৈয়ারভাঙা বাজারে মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উন্দানিয়া গ্রামে গিয়ে বিএনপির সভাস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন এবং বিএনপির নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়িতে লুটপাট চালান। এ সময় আতঙ্কে মানুষ ছোটাছুটি করে পালাতে থাকেন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে মনির হোসেন নামের বিএনপির এক কর্মীর মাথায় গুলি লাগে। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ খানের পায়ে ও পেটে গুলি লাগে। এ ছাড়া অন্তত ২০ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহত নেতাকর্মীদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী তাদের দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর ভাতিজা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (শাহীন) আয়াতউল্লাহর নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়। আমরা কি কর্মি ভাও করতে পারব না। আগেও বাকই উত্তর ইউনিয়নে আমার কর্মিসভা ভণ্ডুল করা হয়েছে। চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান জানান, বিএনপির লোকজন আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের নাম পরে জানানো হবে। আমরা কোনো হামলা করিনি।

লালমাই থানার ওসি হানিফ সরকার বলেন, বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১০

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১১

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১২

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৩

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৪

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৫

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৬

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

১৭

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ

১৮

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

১৯

‘সোলজার’র প্রথম ঝলকে কী বার্তা দিলেন শাকিব খান?

২০
X