নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫, ০৬:১৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর সদর উপজেলার মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুটি মাদ্রাসার একটি শৌচাগারে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। অন্যদিকে নিহতের মায়ের অভিযোগ, মাদ্রাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত জিদান উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে এবং তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা জানান, তার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে জিদান তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার দাদা মো. নুরুল হক বাবুল তার নাতিকে দেখতে মাদ্রাসায় যায়। সেখানে তিনি দেখেন তার নাতির বমি পড়ে আছে মাদ্রাসার ফ্লোরে। তখন মাদ্রাসায় মুতামিম আফজাল হোসাইন জিদানের দাদাকে জানায়, আপনার নাতি পড়ালেখা পারে না এজন্য শাস্তি দিয়েছি।

তিনি বলেন, বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার মুতামিম ফোন করে আমাকে জানায় আপনারা দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান। আপনার ছেলে মাদ্রাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে।

অভিযোগ করে নিহতের মা আরও বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে হত্যা করে। এরপর ফাঁসির নাটক সাজায়। তারা আমার ছেলেকে এর আগেও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে।

ওই মাদ্রাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওই ছাত্র বিকেলের দিকে মাদ্রাসার শৌচাগারে ঢুকে। ওই সময় আরও দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল। সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. শাহরিয়ার বলেন, ফাঁস হলে পিছনের দিকে দাগ থাকার কথা না। ফাঁসের বিষয় হলে পিছনে দাগ থাকত না। কিন্তু আমি প্রাথমিক অবস্থায় জিদানের গলার পিছনের দিকে তার দাগ দেখতে পেয়েছি। তাই প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। মাদ্রাসায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার ‘রাজসাক্ষী’ হয়ে আরেক পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি

দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৮ নেতাকর্মী কারাগারে

নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে নৌবহর কর্মসূচি

সময় টিভির চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলামের পদত্যাগ

ইতালি নেওয়ার লোভ দেখিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

জানা গেল বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ

রোজা শুরু হতে আর কত দিন বাকি? জেনে নিন

ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতি / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ঐক্য পরিষদ

আবারও বিপিএল নিলাম নিয়ে অনিশ্চয়তা

মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ নিয়ে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা, ক্ষুব্ধ পরিবার

১০

ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের সুখবর দিল ভারত

১১

ইন্ডিয়ার কাছে প্রত্যাশা শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে : দুলু

১২

পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি, নিহত ২৩

১৩

ঘুষ না দেওয়ায় প্রথম হয়েও চাকরিবঞ্চিত যুবকের মামলা, অতঃপর...

১৪

চা পানের এই ৭ ভুল ক্ষতি করছে আপনার পাকস্থলী ও লিভারের

১৫

খাদ্য নিরাপত্তা / কৃষি উৎপাদনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ

১৬

দেশের বাজারে ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম

১৭

প্রথম রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

১৮

বর্ষার সাথে মাহির ও জোবায়েদের প্রেম ছিল : জবানবন্দিতে বর্ষার মামা

১৯

২৬ মামলা জিতলেন ভুয়া আইনজীবী

২০
X