বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে সিলেট-এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা। রোববার (০৪ মে) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা সিলেট নগরীর আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেন হাজারো চা শ্রমিক। এ সময় পাঁচ মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে জানায় তারা।
পরে প্রশাসনের আশ্বাসে দাবি আদায়ে লিখিত প্রতিজ্ঞা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। যদিও দাবি আদায় না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন চা শ্রমিকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রোববার সকাল থেকেই বিক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করেন। দুপরে ১২টার দিকে সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করেন হাজারো চা শ্রমিক। এ সময় বিভিন্ন দাবি লেখা প্লেকার্ড নিয়ে স্লোগান করেন তারা। দুপুর থেকে শুরু হওয়া অবরোধের ফলে ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধের পর প্রশাসনের আশ্বাসে দাবি আদায়ে লিখিত প্রতিজ্ঞা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে চা শ্রমিকদের পাঁচজন প্রতিনিধি উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে যায়। বাকি শ্রমিকরা বিকেল ৩টার দিকে সড়কের অবরোধ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মালনীছড়া চা বাগানে অবস্থান নেন। লিখিত প্রতিশ্রুতি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ সময় চা শ্রমিক নেতা অজিত রায় বলেন, পাঁচ মাস ধরে আমাদের বেতন ও রেশন বন্ধ। কতগুলো মানুষ না খেয়ে রয়েছে কেউ খবর নেয় না। কার্ড নিয়ে গেলেও তাদের রেশন দেওয়া হয়নি। দুর্বিষহ জীবন আপনারা তো দেখেননি। আমাদের নির্দিষ্ট করে লিখিত আকারে জানাতে হবে কবে আপনারা এ সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়্যাৎ বলেন, প্রশাসন তাদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চা শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ যা দাবি ও যে সমস্যাগুলো আছে তা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে দূর হয় সেজন্য কাজ করা হচ্ছে। তাদের ৫ জন প্রতিনিধি পঞ্চায়েতসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে তাদেরকে লিখিতভাবে জানানোর চেষ্টা করা হবে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন