বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ৬ দফা এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। আমরা সবুজ বাংলার ২০ দফার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেটি মানা হয়নি। ফ্যাসিবাদের পতনের পর নতুন করে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের রক্ষায় সর্বোচ্চ কাজ করবে।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপজেলা শহীদ সামাদ স্মৃতি ময়দানে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে একই স্থানে সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জামায়াতের মহিলা কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, নারীদের ঘরে আবদ্ধ করে রাখার যে অপপ্রচার চালানো হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নারীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজ সংস্কার, চাকরি, ব্যবসা, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মতো সব খাতে অংশ নিতে পারবে। জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীরা ইসলামের মূলনীতি মেনে পর্দার সঙ্গে শিক্ষা, চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়গুলোতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার ক্ষমতায় থেকেও দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে লুটপাট ও দখলবাজির রাজনীতি করেছে, বিএনপি প্রায় ২০ বছর ক্ষমতায় থেকেও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, মানুষ এখন একটি বিকল্প চায়, আর সেই বিকল্প শক্তি হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগ বিদেশে ২৩৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এই লুটপাটের অর্থ উদ্ধার করে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ রক্ষা ও ফিরিয়ে দিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দিনব্যাপী নারী-পুরুষদের পৃথক কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব সিদ্দিকী। পৃথক কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারি পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির শেখ নূরুল হুদা, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, জেলা ছাত্র শিবিরের নেতা এমামুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- কালিগঞ্জ উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর জিএম আব্দুল গফ্ফার, শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, দেবহাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ওলিউল ইসলাম, শহীদ আরিফুজ্জামানের বাবা আবতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এসএম জোবায়ের হোসেন, সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন