গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চিকিৎসক না থাকায় ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

হাসপাতাল চালুর দাবিতে মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা
হাসপাতাল চালুর দাবিতে মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা

দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌর শহরের ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালে। হাসপাতালটি দ্রুত চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) সকাল ৯টায় হাসপাতালের সামনের সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে গলাচিপার সর্বস্তরের মানুষ।

মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নারী, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। বক্তব্য দেন যুব সমাজের প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শাহ জুবায়ের আব্দুল্লাহ, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রুবেল, স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম, মোসা. রেখা বেগম ও মো. নবীন হোসেন।

বক্তারা বলেন, জনবহুল ও নদীবেষ্টিত গলাচিপা পৌরসভায় মা ও শিশুদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলা হলেও সেটি সেবা বন্ধ থাকায় জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সময়মতো চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু হলে উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো মানুষ উপকৃত হতো। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের জন্য এটি জীবনরক্ষাকারী ভূমিকা রাখতে পারত। অথচ বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসক নেই, সেবা কার্যক্রম নেই এবং ওষুধও পাওয়া যায় না। সেবা কার্যক্রম চালু না থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সেবাগ্রহীতারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে সেবা নিতে এসে চিকিৎসক না পাওয়ার পাশাপাশি নার্সদের অসদাচরণ এবং রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গলাচিপা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫২ শতক জমির ওপর নির্মিত এই হাসপাতালটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এতে রয়েছে দ্বিতল ভবন, অপারেশন থিয়েটার, ডক্টর ডরমেটরি, গভীর নলকূপ, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আধুনিক অবকাঠামো। তবে অভ্যন্তরে নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও জনবল। কক্ষগুলো অধিকাংশ সময় তালাবদ্ধ থাকে। ২০২১ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলেও আজও হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি। ফলে গর্ভবতী মায়েদের বরিশাল কিংবা পটুয়াখালী জেলা শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। পথে সন্তান প্রসব ও মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনার খবরও রয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন হাসান রুম্মান বলেন, জনবল সংকটের কারণে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ছয়জন ইউনিয়ন স্টাফ দিয়ে সীমিত সেবা দেওয়া হচ্ছে। একজন এমবিবিএস চিকিৎসক ছিলেন, তিনিও গত নভেম্বরে বদলি হয়ে গেছেন।

তিনি জানান, বর্তমানে দুইজন এফডব্লিউভি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেবা দিচ্ছেন। ডাক্তার ও স্টাফ নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জনবল সংকটের কথা জানিয়ে বলেন, সরকার ও মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জ্লাতানকে ছাড়িয়ে এমএলএসে মেসির নতুন ইতিহাস

মৎস্য কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা, ২৭ জেলে আটক

ফেসবুকে নতুন চমক, আসছে ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার

শেখ হাসিনার বিচারকাজ সম্প্রচারের সময় ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা

জুলাই নিয়ে কাজ করতে গেলেই বাজেট নিয়ে একটা মহল প্রশ্ন তোলে : আসিফ মাহমুদ

বাসের ধাক্কায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

গুরুত্বপূর্ণ দুই সীমান্ত বন্ধ করে দিল পাকিস্তান

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ’র খসড়ার মতামত গ্রহণ সম্পন্ন

মুন্সীগঞ্জে হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন

অনুমতি ছাড়া সংবাদ সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞার সংশোধন করল খুলনা মেডিকেল

১০

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

১১

হঠাৎ কেন দাম কমলো ক্রিপ্টোকারেন্সির?

১২

সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ

১৩

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি

১৪

ইউএস-বাংলা গ্রুপের ট্যাক্স বিভাগে চাকরির সুযোগ

১৫

শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ, যান চলাচল স্বাভাবিক

১৬

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পেল আর্জেন্টিনা

১৭

ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনে কতটা ঝুঁকিতে আমরা?

১৮

ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণ, ৭ শ্রমিক দগ্ধ

১৯

সমাধান ও সফটওয়্যার শপের মধ্যে নতুন চুক্তি

২০
X