শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে বিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সময় তৎকালীন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও তার এপিএস আবদুর রশিদ গোলন্দাজের সহায়তায় বিদ্যালয়ের নিয়োগবাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা বিষয়ে অনিয়ম করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। তিনি দীর্ঘ আট মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। বর্তমানে কিছু সুবিধাবাদী নেতার হাত-পা ধরে বিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ডামুড্যাবাসী বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি।
সামাজিক সংগঠন সেভ দ্য কমিউনিটি বিডির সাধারণ সম্পাদক মিরাজ সিকদার বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ চাই। একজন যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেবেন? এ ছাড়া তিনি আগে যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন অভিযোগে বিতাড়িত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের পর তার একান্ত সহযোগী বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাহিম রাজ্জাক ও আব্দুর রশিদ গোলন্দাজ পালিয়ে গেলেও কিছু নেতাদের ম্যানেজ করে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। অনতিবিলম্বে ডামুড্যাবাসী তার অপসারণ চায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা পড়াশোনা করতে এসেছি, ভয় পেতে নয়। শিক্ষক যিনি শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দেবেন, তিনিই যদি ভয় দেখান, তাহলে আমরা কোথায় যাব। তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে সবাই।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং সত্য প্রমাণিত হলে সুজিত কর্মকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন