দায়িত্ব নেওয়ার পর ৯ মাস পর প্রথমবারের মতো নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে দিনব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। তার এ আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রশাসন।
অনুষ্ঠানস্থল, দীর্ঘ সড়ক কিংবা বিশাল ফ্লাইওভারেও বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। বিমানবন্দর সড়ক থেকে অক্সিজেন হয়ে হাটহাজারী প্রত্যেক অলিগলির মুখে দেখা গেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), নৌবাহিনীর সদস্যদের। ন্যূনতম ৫০ গজ দূরত্বে কাজ করছেন ৩/৪ জন পুলিশ। এদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তায় মাঠে থাকবেন র্যাব, ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ, যৌথ বাহিনী, সিআইডি, এনএসআই, ডিএসবি, এসবি, ডিজিএফআই ও এএসএফের সদস্যরা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামে এসেই বাণিজ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করতে করণীয় নিয়ে কাজ করবেন বলে স্বপ্ন বুনছেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন, এ শহরেই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাড়ির টান রয়েছে, তাই এ শহরের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি আশা বুনেছেন নগরবাসী। তারা মনে করেন, জলাবদ্ধতা, নগরের সংকট-সমস্যা, যানজট পরিস্থিতির উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮৮৮ সালে ব্রিটিশদের চিটাগাং পোর্ট কমিশনার্স অ্যাক্ট গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বার্ষিক ১২৫ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ পরিচালিত হয় এ বন্দর দিয়ে। দেশের অর্থনীতির স্বর্ণদ্বার খ্যাত এ বন্দরে সব খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ করা ও বন্দরে আধুনিকায়নের সংকট কাটিয়ে উঠার তাগিদ বন্দর ব্যবহারকারীদের।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও সরকারের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিরাও ঘুরে গেছেন চট্টগ্রাম বন্দর। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধান উপদেষ্টার পরিদর্শনকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এবার এনসিটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরকে দেওয়া নিয়ে সরব নানা পক্ষ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফর।
যেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রামের সন্তান হওয়ায় এ সফর ঘিরে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশাও অনেক। আগামী দিনের বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণে বে-টার্মিনালের কাজ দ্রুত শুরু করার পাশাপাশি অতীতের মতো কারও স্বার্থে যেন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার না হয় সেটি নিশ্চিত করার দাবি ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, যেভাবে বন্দরকে আধুনিকায়ন করা হবে বলা হয়েছিল, এখনও সেভাবে হয়নি। এখনও গতানুগতিক পদ্ধতিতে পণ্য লোড-আনলোড করা হচ্ছে। সুবিধা বাড়িয়ে এসব পরিবর্তন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আনা সম্ভব। বিনিয়োগ এলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে। ব্যবসায়ীরাও সুযোগ পাবে ব্যবসা সম্প্রসারণে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, টার্মিনালকে ঘিরে অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য মুখিয়ে আছেন। এ সুযোগটাকে আমরা কাজে লাগাতে চাচ্ছি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা চট্টগ্রাম বন্দরের অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা কারণে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে এ বন্দর। পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে দক্ষ জনবলের অভাব, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও উন্নত যন্ত্রপাতি না থাকা। তবে এরই মধ্যে আশার আলো হচ্ছে বড় বড় বিদেশি বিনিয়োগ এগিয়ে আসছে এ বন্দরে। দেশের নীতি নির্ধারণীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে এসে প্রধান এ সমুদ্র বন্দর পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মতবিনিময় করবেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংস্থার নেতাদের সঙ্গে। চট্টগ্রামের সমুদ্র অঞ্চলের যথাযথ ব্যবহার, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে এ সরকার এমন চাওয়া ব্যবসায়ীদের। গুরুত্ব পাচ্ছে কক্সবাজার পর্যন্ত ছয় লেন সড়ক নির্মাণের বিষয়টিও।
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের এস এম আবু তৈয়ব বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে যে বিশাল প্রকল্পটি চলমান রয়েছে সেটার দিকে একটা বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। দীর্ঘদিন হয়ে গেল, ওটার সুফল আমরা পাচ্ছি না। পুরোনো কক্সবাজার সড়কটাকেও চারলেনে উন্নীতকরণ কথা আমরা বলেছিলাম, এখনো হয়নি। ফলে চট্টগ্রামের এক অমূল্য সম্পদ কক্সবাজারকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না।
প্রধান উপদেষ্টার চট্টগ্রাম সফর নিয়ে তার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন তিনি। পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছার পর বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। এটি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা এবং নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী সড়কের যানজট পরিস্থিতির বিষয়ে বিফ্র করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করবেন।
কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব মুস্তফা নঈম বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এটি নির্মাণ হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে সরকারের কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
সফরসূচির শেষ পর্যায়ে দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে অংশ নেবেন ২২ হাজার ৬০০ গ্র্যাজুয়েট।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে চট্টগ্রামের জনগণ তাদের মাটির সন্তানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রধান উপদেষ্টার নিজ জেলায় বহুল প্রতীক্ষিত সফরটি সফল করতে আমরা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসারে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাসেল কালবেলাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আগমনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ। এদিন জেলা পুলিশের প্রায় দেড় হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এরই মধ্যে যারা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার এরই মধ্যে চবির সমাবর্তনস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আগমনে সিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিএমপির সোয়াট টিম ও ডগ স্কোয়াড মাঠে মোতায়ন করা হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে চলছে সাজরব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সমাবর্তন প্যান্ডেল। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অতিথিসহ প্রায় ২৫ হাজার লোকের বসার জন্য মূল প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে অনুষ্ঠান দেখতে পারেন সেজন্য লাইভে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা হচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে চারটি পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্র জানায়, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিন গ্র্যাজুয়েটদের ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি ১ নম্বর মূল গেট (হাটহাজারী রোড) থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার জন্য ১ নম্বর গেট থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। গ্র্যাজুয়েটদের যাতায়াতের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট যথা ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্স, নিউমার্কেট, জমিয়াতুল ফালাহ, পলিটেকনিক মোড় (ফ্লাইওভার থেকে নেমে) থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে।
সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বাসগুলো শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করবে এবং ক্যাম্পাস থেকে ফিরতি বাসগুলো বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলবে। বটতলী স্টেশন থেকে ৭টা ৫ মিনিট ও ৭টা ৪০ মিনিট, ষোলশহর স্টেশন থেকে সাড়ে ৯টা, ১০টা ৫মিনিট, সাড়ে ১১টা এবং ফিরতি ট্রেন ক্যাম্পাস থেকে ৪টা ৪০ মিনিট, ৬টা ২০ মিনিট এবং ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করবে।
এ ছাড়া আইডি কার্ড ছাড়া কেউ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে প্রবেশ করতে না দিলে যথাযথভাবে তা খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রশাসনের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী সমাবর্তীদের কাছে ফোন যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, সমাবর্তনে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। অতিরিক্ত পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা সাদা পোশাকে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন