অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ৫-১০ টাকা যে মানুষের জীবনে এত আনন্দ আনতে পারে ভাবিনি।
বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, জোব্রা গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য ৫-১০ টাকা যে এত আনন্দ আনতে পারে ভাবিনি। আমি তো আমার টাকা কাউকে দেইনি। তারা টাকা নিয়ে কাজ করবেন, সেটা জমা দিবেন। বিনিময়ে নিজেদের উন্নয়ন ঘটাবেন। জোব্রা গ্রামে আমি নতুন এক বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছিলাম। আজকে আমার যা কিছু দাঁড়ালো সব জোব্রা গ্রাম থেকেই শিখেছি। আমরা এক ব্যবসা কেন্দ্রীক সভ্যতা গড়ে তুলেছিলাম।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবো বলেছিলাম। তখন প্রশ্ন উঠেছিল- আপনি কে দারিদ্র্যকে যাদুঘরে পাঠানো? তখন আমি বললাম আমি পাঠানোর চেষ্টা করলে আপনারা বাধা দিবেন? সরকার বাধা দিল, কিন্তু কী হলো। এটা থেকে যে একটা নোবেল পুরস্কার পাওয়া যাবে তা কখনও মনে আসেনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে নিয়ে গৌরব করে, আমি তাদের ছাত্র ছিলাম। আমি যেটাতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো তাদের জন্য গৌরবের। গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। নোবেল পুরস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জানাতে পারে এর প্রাসঙ্গীগতা।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেই ধরনের বিশ্ব গড়তে চাই তার সক্ষমতা আমাদের সবার আছে। কিন্তু আমরা গৎবাধা কর্মকাণ্ডের দিকে চলে যাই বলেই তা সম্ভব হয় না। প্রত্যেক প্রকাশনার পেছনে আমাদের উদ্দেশ্য থাকে, সবকিছুকে ঢেলে সাজানোর। না হয় গন্তব্যবিহীন পথচলা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমরা উচ্ছ্বসিত। নিজের মনের একটা স্বপ্ন থাকতে হবে। আমরা কি ধরনের সমাজ-বিশ্ব চাই। গর্তের ভেতর ঢুকে গেলাম, যা আছে সব মেনে নিলে কিছুই পরিবর্তন হবে না। আজকের দিনটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জোব্রা গ্রামের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
মন্তব্য করুন