কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আরেকটি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ আসছে!

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ। প্রতীকী ছবি
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ। প্রতীকী ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা, উত্তপ্ত লেবানন সীমান্ত ও চারপাশের অস্থিরতার মাঝেই জোরালো হচ্ছে গুঞ্জন, তেহরান ও তেল আবিব এবার সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্লেষকদের ধারণা, চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই কিংবা আগস্টের শেষ দিকে বড় ধরনের হামলা শুরু হতে পারে।

ইসরায়েলের প্রধান উদ্বেগ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। গেল জুন মাসে এই অজুহাতেই হামলা চালালেও বাস্তবে লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্য পাল্টে দেওয়া। কিন্তু প্রত্যাশিত ফল মেলেনি। ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেখিয়েছে, তাদের সামরিক সক্ষমতা এখনো অটুট। এবার তাই তেহরান প্রস্তুত হচ্ছে শুরু থেকেই শক্তিশালী আঘাত হানতে, যেন প্রমাণ করা যায় যে- ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্য দুর্নিবার নয়।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা। আগের সংঘাতে তিনি সীমিতভাবে হামলায় রাজি হলেও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়াননি। এতে ইসরায়েলের ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তবে এবার যদি তিনি ইসরায়েলের চাপে পড়ে সরাসরি যুদ্ধে নামেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে, যার ভয়াবহতা ইরাক যুদ্ধকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ফরেন পলিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েল একা ইরানকে মোকাবিলা করতে পারবে না। তাই কৌশলগতভাবে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের সামরিক অবকাঠামো দুর্বল করা, শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং দেশটিকে দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করা। তবে জুনের যুদ্ধে ইরানের নেতৃত্ব দ্রুত পুনর্গঠিত হয় এবং পাল্টা আঘাতে ইসরায়েলের ভেতরেও ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইসরায়েলের ধারণা ছিল আতঙ্ক সৃষ্টি করলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে যাবে। কিন্তু উল্টোটা ঘটেছে। জাতীয়তাবাদের ঢেউয়ে ইরানিরা আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং এখন তারা প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর দাবি করছে। এ অবস্থায় ইসরায়েল তার পুরোনো ‘ঘাস কাটা’ কৌশল অব্যাহত রাখতে চাইছে—অর্থাৎ ইরান সামরিক শক্তি গড়ে তোলার আগেই হামলা চালানো। কিন্তু তেহরানও এবার তা ঠেকাতে বদ্ধপরিকর।

সব মিলিয়ে, নতুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হলে ট্রাম্পের অবস্থান হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সীমিতভাবে জড়াতে পারবেন না। তাকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে অংশ নিতে হবে, নয়তো পুরোপুরি সরে আসতে হবে। আসন্ন কয়েক মাসই নির্ধারণ করে দেবে, মধ্যপ্রাচ্য আবারও ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে, নাকি কোনো সমঝোতার পথ খুলবে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—পরবর্তী ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধ আগের চেয়ে অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘এমপি হই আর না হই, হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছি’

উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র সচিব

নৌবহরের কয়েকটি নৌযানে উঠে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা

ইনজুরটাইমের গোলে বার্সার বিরুদ্ধে পিএসজির জয়

গণতন্ত্রের বিজয়ের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য : মিন্টু

বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু অস্ট্রেলিয়ার

সতর্কতা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’

ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করে তামিম ভাইরা ব্যর্থ হয়েছেন : আসিফ মাহমুদ

গাজামুখী নৌবহর আটকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান

গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের চারজন দগ্ধ

১০

আইএলটি২০ তে দল পেলেন সাকিব-তাসকিন

১১

সুমুদ ফ্লোটিলাকে থামিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ, পথ পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি 

১২

ভারতে ড. ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন, ‘অসম্মানজনক’ বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

১৩

গাজামুখী নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলাকে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ

১৪

বিএনপি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বাংলাদেশির দল : প্রিন্স

১৫

বিএনপি সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী : আনোয়ারুজ্জামান

১৬

বিভিন্ন মন্দিরে শিশুদের মাঝে চকলেট বিতরণ

১৭

আ.লীগকে অচিরেই আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হবে : জুয়েল

১৮

কাজে আসছে না ১১ কোটি টাকার পানি শোধনাগার

১৯

পূজার ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

২০
X