কালবেলা প্রতিবেদক, গাজীপুর
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ সদস্য

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ সদস্য। ছবি : সংগৃহীত
কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ সদস্য। ছবি : সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টায় তারা মুক্তি লাভ করেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় কারা ফটকে তাদের আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় ৪০ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা গেছে, আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের (প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) বিচারক ইব্রাহীম মিয়া বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ৪০ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

জামিন পাওয়া ৪০ জনের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ৫ জন, পার্ট-২ থেকে ১০ জন ও হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১১ জন মুক্তি লাভ করেন। এ ছাড়া বুধবার এই ইউনিট থেকে আরও এক বিডিআর সদস্য জামিনে মুক্তি পান।

এর আগে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১৭৮ জন বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ২১৮ জন‌ জামিন পেলেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্টের জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, বুধবার বিকেলে বন্দি ২৭ সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট এরই মধ্যে রায় দিয়েছেন। মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতে এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ মামলার সাক্ষী ১ হাজার ৩৪৪ জন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। সেদিন বিডিআরের কয়েকশ সদস্য পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালান। প্রায় দুই দিনব্যাপী চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পিলখানায় বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও সেদিন নৃশংসতার শিকার হন। পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এই মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে ১২ ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার শ্রমিকদের

ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা

বুধবার থেকে ফের আকাশে উড়বে নভোএয়ার

বালুর স্তূপে মিলল পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি

নাকাবা দিবসে গাজায় ব্যাপক হামলা, নিহত শতাধিক

১২ দলীয় জোটের বিবৃতি / চট্টগ্রাম বন্দরকে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে : প্রেস সচিব

ট্রিপল হ্যাটট্রিকে সাবিনার ঝলক, ভুটানে ২৮-০ গোলের অবিশ্বাস্য জয়

বিএসআরএম আয়োজিত স্থাপত্য সম্মেলন ‘আর্কিটেকচার : হোয়ার টু গো’

খুলনায় শিশু ধর্ষণ, কারাগারে গেল মামুন

১০

ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পারভেজ মল্লিকের

১১

ছয় মাস পর পিএসএল দিয়ে মাঠে ফিরছেন সাকিব

১২

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ 

১৩

শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেনি সরকার : হাদী

১৪

জবির সমস্যা সমাধানে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে রিফাতের স্ট্যাটাস

১৫

ছাত্রদল নেতার মাথায় ছুরিকাঘাত

১৬

খুলনায় ওয়ালটনের আনন্দ র‌্যালি

১৭

কবি নজরুল কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শুভ, সম্পাদক সা’দ

১৮

ঢাকা মহানগর উত্তরের বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার 

১৯

আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন জবির দুই সাংবাদিক

২০
X