পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর-আজিমপুর গ্রামের লক্ষ্মীর খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি ধসে খালে পড়েছে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে সেতু ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষসহ কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) ভোর রাতে বিকট শব্দে এ ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর ও আজিমপুর গ্রামের মাঝখানে প্রবাহমান লক্ষ্মীর খালের উপর নির্মিত এই ব্রিজটি ২০০১ সালে নির্মিত হয়। জোয়ার-ভাটায় লবণাক্ত পানি প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক বছরের মধ্যে ব্রিজের নিচের লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যায়। ব্রিজের কংক্রিটের সবগুলো এলোমেলো হয়ে জীর্ণ দশায় পরিণত হওয়ায় ২০২১ সালে এলজিইডি থেকে ব্রিজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে গত বছরের ১১ আগস্ট রাতে শ্রী মাধব সৈদ্দাল নামের এক ব্যবসায়ী একটি টমটম গাড়িতে ২৫ বস্তা সার নিয়ে পার হওয়ার সময় ব্রিজের দক্ষিণাংশ ভেঙে যায়। পরবর্তীতে চলাচলের জন্য কাঠের তক্তা দিয়ে প্রাথমিক মেরামত করা হয়েছিল। তবে এ অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘ আট মাস। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তক্তাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, অটোভ্যান, ইজিবাইকসহ স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলাচল করছিল। তবে ব্রিজটি মঙ্গলবার একেবারেই ধসে খালে পড়ে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন হোসেন বিপ্লব বলেন, কয়েক বছর আগে ব্রিজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও আমরা কাঠের তক্তা দিয়ে চলাচল করেছি। আজ (মঙ্গলবার) সকালে বিকট শব্দ শুনে এসে দেখি ব্রিজটি খালে পড়ে গেছে। আমাদের যাতায়াতের জন্য এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ জরুরি।
আজিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাকিল সরদার বলেন, কাঠের তক্তা দিয়ে মেরামত করে হলেও আমরা পারাপার হয়েছি। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা উপজেলার সব ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের লিস্ট করেছি। তাহেরপুর-আজিমপুর খালের ভাঙা ব্রিজটির বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অতি তাড়াতাড়ি ওখানে একটা ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন