আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শেষ মুহূর্তে পশু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। তবে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত তারা। উপজেলাজুড়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ও দেশীয় খাবার খাইয়ে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় খামারে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৪০ হাজার কোরবানির পশু।
খামারিরা বলছেন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলাগুলোতেও বিক্রি করা যাবে। যদিও গো-খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে আশানুরূপ লাভবান হতে পারবেন কি না- এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা। তাছাড়া চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পশু প্রবেশ নিয়েও চিন্তিত তারা।
খামারিদের প্রত্যাশা, গো খাদ্যের বাজার মনিটরিংসহ চোরাইপথে পশু আমদানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উপজেলার শিবপুরের খামারি আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে গো খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। তিনি পশুখাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধ এবং সীমান্তে পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আজহার-উল-আলম কালবেলাকে বলেন, ভৈরবে ৪০ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে, যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩০ হাজার পশু বেশি হবে। এছাড়া ৭টি মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন