গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ ভোমরা তারা হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, এই পটপরিবর্তনের পর আমরা দেখতে পাই, এত সমর্থনের পরও এই সরকার দুর্বলতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা একটি শক্তিশালী সরকার আশা করেছিলাম।
বুধবার (১৩ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘জুলাই বিপ্লবে জবি অগ্নিকন্যা সম্মাননা ও নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানে আন্দোলন-সংগ্রামে নারীদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা জানি একাত্তরের পূর্বে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু তারা সরকারে আসেনি। আমরা পশ্চিমে দেখি কানাডা বা নিউজিল্যান্ডের যখন প্রধানমন্ত্রী হন তাদের বয়স ৩৫ বছরের কাছাকাছি।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে একটি দেশে যে ধরনের পরিবর্তন আমাদের আশা ছিল, এ রকম কোনো পরিবর্তন আমরা দেখতে পাইনি। তবুও আশাহত হচ্ছি না। আমরা তো আর নেতৃত্ব দেইনি, আমাদের বয়স আছে। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে তরুণদের। যে রাষ্ট্র গঠন করতে চাই সেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার পূরণ হবে।
সিলেটে পাথর লুট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কল্পনাও করিনি সিলেটের সাদা পাথর এভাবে নাই করে দিবে। আমাদের ওইখানে সব ধরনের ফোর্স আছে, ছাত্র প্রতিনিধিরা আছে, তারা কেউই কিন্তু বাধা দেয়নি। পরে এসে সবাই হায় হায় করছে।
ছাত্র সংসদের বিষয়ে তিনি বলেন, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকে তাহলে আমরা আগের সেই নোংরা রাজনীতি দেখতে পাব। আমরা পূর্বে দেখেছি নাসির স্যার কে, যিনি ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছেন। এরকম শিক্ষকদের আমি স্যালুট জানাই। আজকে আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের শহীদদের এবং আহতদের।
জকসু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে অক্টোবর-নভেম্বরের মাঝে জকসু নির্বাচনের আয়োজন করবে। আমরা গত আন্দোলনে জগন্নাথের শিক্ষকদের দেখেছি তারা কেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা তাদের স্যালুট জানাই।
এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন একেএম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন রায়হান হাসান রাব্বি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন