ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ টেস্ট ক্রিকেটের আর্থিক টেকসইতা নিয়ে সরাসরি সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তার মতে, সবার জন্য টেস্ট ক্রিকেট খেলার বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দিলে ছোট ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলো কার্যত দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিনবার্গ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে স্বল্পতা আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়। আমার মনে হয় না বিশ্বের প্রতিটি দলকে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখতে হবে এবং এটা হয়তো স্বাভাবিকই। আমরা যদি সবাইকে জোর করে টেস্ট খেলাতে চাই, তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেব।’
এই মন্তব্য আসে এমন সময়ে, যখন আইসিসি দুই স্তরের টেস্ট ব্যবস্থা চালুর মতো কাঠামোগত সংস্কারের বিষয় বিবেচনা করছে, যাতে প্রতিযোগিতামূলক ও আর্থিকভাবে টেকসই ম্যাচ নিশ্চিত করা যায়।
গ্রিনবার্গের মতে, অ্যাশেজের মতো ঐতিহ্যবাহী সিরিজ এবং ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে বড় তিনের দ্বন্দ্বে বেশি বিনিয়োগ করাই টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখার পথ। ২০২৫-২৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ শুরুর আর মাত্র ১০০ দিন বাকি, যা এখনো আর্থিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক ও জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা।
তিনি সাম্প্রতিক ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজের মানসম্পন্ন প্রতিযোগিতার প্রশংসা করলেও কিছু একপেশে ম্যাচের দিকে ইঙ্গিত করেন। যেমন, ওয়েস্ট ইন্ডিজে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে কম ব্যবধানে জেতা ম্যাচেও ব্যবধান ছিল ১৩৩ রান; আবার নিউজিল্যান্ড ৩৫৯ রানে ইনিংস জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এসব ম্যাচ প্রতিযোগিতার মান ও দর্শক আগ্রহ- দুটোকেই কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে যেসব বাজারে ক্রিকেট অন্য বিনোদনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে।
গ্রিনবার্গের ভাষায়, ‘যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের অর্থ ও মর্যাদা আছে, সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে। অ্যাশেজ এত বড় ও লাভজনক হওয়ার কারণও এটাই- এতে গুরুত্ব আছে।’
মন্তব্য করুন