কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দুই গ্রুপের কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন একপক্ষের সাজেদুল ইসলাম সবুজ ও রঞ্জ মিয়া।
অন্যপক্ষ মেহেদী হাসান রনি ও মো. রাফি। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (২৩ মে) রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠনো হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত। তবে এ ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে প্রকল্পের বরাদ্দ নেন সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম সবুজ। এরই মধ্যে প্রকল্পের অধিকাংশ বিল উত্তোলনও করেছেন সবুজ। বৃহস্পতিবার সবুজের আহ্বানে উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কয়েকজন সমন্বয়ক সবুজের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে প্রকল্প ও অর্থের বিষয়ে জানতে চান। এ বিষয় নিয়ে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের চারজন আহত হন।
সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নির্দেশে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলার সমন্বয়কদের আলোচনা সভার জন্য শহীদ মিনার চত্বরে ডাকি। এ সময় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির কিছু ছেলে রনজু ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। বাধা দিতে গেলে আমার ওপর হামলা করে।
অন্যদিকে মেহেদী হাসান রনি বলেন, সবুজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে ঠিকাদার ও চেয়ারম্যানদের কাছে চাপ দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প হাতিয়ে নিয়েছে। এসবের প্রমাণসহ তার কাছে জানতে চাইলে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
মন্তব্য করুন