কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর নিজ ঘরে ফিরে যেতে পারেননি লাইলী বেগম। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও লাইলী বেগমের সন্ধান মেলাতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (২৫ মে) সকালে সেনাবাহিনীর সদস্য কাজী সুজনের আন্তরিকতায় দেড় মাস ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধ লাইলী বেগমকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের ট্রাস্ট ওল্ড এজ অ্যান্ড কেয়ার হোম থেকে মেয়ে সালেহা বেগমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। লাইলী বেগম (৬৫) মাদারীপুরের শিবচর থানার মাতবর চর এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালামের স্ত্রী।
লাইলী বেগমের মেয়ে সালেহা বেগম বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে মা নিখোঁজ ছিলেন। গত রমজানে মায়ের সন্ধান পাওয়ার পর বাড়িতে আনা হয়। সর্বশেষ গত দেড় মাস আগে মা বাড়ি থেকে ফের নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে ফেসবুকের একটি পোস্ট দেখে তার মায়ের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছি।
টরকী বন্দরের ট্রাস্ট ওল্ড এজ অ্যান্ড কেয়ার হোমের প্রতিষ্ঠাতা সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল কাজী সুজন বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় গৌরনদীর বার্থী বাজার থেকে লাইলী বেগম নামের এ মাকে আমরা উদ্ধারের পর হোমের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করি। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী পরিবারকে খুঁজে পেতে ফেসবুকে পোস্ট করি।
তিনি আরও বলেন, সেই পোস্টের সূত্র ধরে লাইলী বেগমের মেয়ে সালেহা বেগম ও তার অন্যান্য স্বজনরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হোমে আসেন। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে লাইলী বেগমকে তার মেয়ে সালেহা বেগমের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় মা ও মেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মন্তব্য করুন